এ পথেই যাতায়াত। —নিজস্ব চিত্র।
সন্ধ্যা নামতেই দূর থেকে মনে হয় ছোট-বড় জোনাকি জ্বলছে।
সামনে আসতেই ভুল ভাঙে।
জোনাকি নয়, ছোট-বড় গাড়ির হেডলাইট। তারাতলা রোডের স্টেট গ্যারাজের পর থেকে জিঞ্জিরাবাজার পর্যন্ত অংশে অপর্যাপ্ত আলোর কারণে এই অবস্থা।
শহরকে যখন আলোকনগরী করে তুলতে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুরসভা, সেখানেই তারাতলা রোডে জ্বলছে কয়েকটি সোডিয়াম ভেপার লাইট। তারাতলা রোড মিশেছে বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে। রাস্তার এই অংশে অধিকাংশ বাতিস্তম্ভে আলোই জ্বলে না। কোথাও আলো ভাঙা,
কোথাও বাতিস্তম্ভ জড়িয়ে উঠে গিয়েছে লতার ঝোপ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারাতলা রোডের জিঞ্জিরাবাজার থেকে রামনগর যাওয়ার রাস্তায় নেচারপার্ক ও অ্যালবেস্টার চত্বর ঘুটেঘুটে অন্ধকার হয়ে থাকে।
তারাতলা রোডের এই অংশে যে গাড়ি চালানো ঝুঁকির তা মানছেন গাড়িচালকরা। সতর্ক না হলেই দুর্ঘটনা ঘটে। বজবজ যেতে ব্রেসব্রিজের ডান দিকে হাই রোডের প্রবেশ পথে ট্রাফিক পুলিশের পোস্টটিকে দু’বার লরি ধাক্কা দিয়েছে। বাসচালক সন্তোষ দাস বলছিলেন, “এই পথে গাড়ি চালানো খুবই ঝুঁকির। পাকা হাত না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। দূর থেকে কী আসছে ধারণা করে বুঝতে হবে। আলোর সীমায় আসার অপেক্ষা করলে অঘটন ঘটে যাবে।”
অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে এই অংশে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ব্রেসব্রিজে মোতায়ন এক ট্রাফিককর্মী জানালেন, অপরাধ করে এই অন্ধকারে সহজে পালিয়ে যাওয়া যায়।
এই অবস্থার কথা মানছেন স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি হেমা রাম। কলকাতা পুরসভার ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি হেমাদেবীর দাবি, “১০-১৫টি সোডিয়াম পোস্ট অন্তর একটা করে পিলার বক্স থাকে। তার চাবি ভেঙে কিটকাট চুরি হয়ে যায়। এ ছাড়া আলো জ্বলা-নেভা নিয়ন্ত্রণের টাইমারও চুরি হয়ে যায়। ফলে ওখানে কাজ করলেও সমস্যা থেকে যায়। ব্রেসব্রিজ ও হাইরোড সংযোগে একটা হাইমাস্ট ল্যাম্প সম্প্রতি বসানো হয়েছে। এখনও বিদ্যুত্ সংযোগ হয়নি।” কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (বিদ্যুত্) মনজার ইকবাল বলেন, “একটা হাইমাস্ট ল্যাম্পপোস্ট বসেছে। তাড়াতাড়ি বিদ্যুত্ সংযোগ দেওয়ার জন্য বলছি। গাছের বড় ডালগুলি না কাটলে হাইমাস্টের আলো পৌঁছবে না। তাই সেগুলিকেও কাটা হবে। অকেজো ভেপার ল্যাম্পগুলির অবিলম্বে মেরামতির নির্দেশ দিয়েছি।”