এমনই ভগ্নদশা উল্টোডাঙা পুলিশ আবাসনের। ভেঙেছে জানলাও (ইনসেট)। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
ভাঙাচোরা বাড়িটি চোখে পড়ার মতো। ছাদ আর জানলার উপরের অংশের ঢালাই ভেঙে বেরিয়ে এসেছে লোহা। যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন আবাসিকেরা। উল্টোডাঙা বিধান শিশু উদ্যানের পাশে কলকাতা পুলিশ আবাসনের এমনই দশা!
ওই আবাসনে রয়েছে পাঁচটি ব্লক। প্রতি ব্লক ৯-১০ তলা বিশিষ্ট। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার পুলিশ পরিবারের সদস্য সেখানে থাকেন। অভিযোগ, মাত্র একটি ব্লক (বি-২) মেরামতি করা হলেও বাকি সমস্ত ব্লকগুলির বিল্ডিংয়ের অবস্থা দুর্বিষহ। পুলিশ আবাসনের মূল ফটক দিয়ে ঢুকতেই বাঁ দিকে ‘সি’ ব্লকের অবস্থা সব থেকে বিপজ্জনক। ‘সি’ ব্লকে গিয়ে দেখা গেল, একাধিক জায়গার বিল্ডিংয়ের চাঙড় ভেঙে রড বেরিয়ে গিয়েছে। ওই ব্লকের এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘বিপদ মাথায় নিয়ে থাকছি। কিছু দিন আগে আমার সামনেই বড় চাঙড় খসে পড়েছিল। কোনওক্রমে বেঁচেছি।’’ আবাসিকদের অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতে ছাদ থেকে জল পড়ে। এমনকি আবাসনের জঞ্জাল নিয়মিত পরিষ্কার হয় না বলেও দাবি বাসিন্দাদের। বছর চল্লিশের পুরনো বিল্ডিংগুলি দ্রুত সংস্কার না হলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
কেন এই অবস্থা? উল্টোডাঙা পুলিশ আবাসনের কেয়ারটেকার নীলমণি নন্দী বলেন, ‘‘সি ব্লকের কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলির কাজ মাস চারেকের মধ্যেই শুরু হবে।’’ উল্টোডাঙা পুলিশ আবাসনের বেহাল দশার কথা স্বীকার করে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অর্গানাইজেশন) নীলু শেরপা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আবাসন সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া
হয়েছে। একটি ব্লকের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ব্লকগুলি থেকে আবাসিকদের সরিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে শীঘ্রই।’’ তবে জঞ্জাল সাফাই সংক্রান্ত আবাসিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে নীলমণিবাবুর দাবি, আবাসনে ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়।