আইনভঙ্গ: সিগন্যাল ভেঙে গাড়ির যাতায়াত চলছেই। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল
সিগন্যাল লাল। কিন্তু আশপাশে পুলিশকর্মী নেই দেখে নিশ্চিন্তে সেই সিগন্যাল টপকে যাচ্ছে বহু গাড়ি। শহরতলির বিভিন্ন জায়গার এটাই চেনা ছবি। এর ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। তাই এ বার সিগন্যাল ভাঙলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পদক্ষেপ করার ব্যবস্থা চালু করছে বারুইপুর পুলিশ জেলা। পুলিশ সূত্রের খবর, সিগন্যাল ভাঙলে মিনিট কয়েকের মধ্যেই আরোহীর মোবাইলে চলে আসবে জরিমানার বার্তা।
সম্প্রতি এডিজি ট্র্যাফিক বিবেক সহায় বারুইপুরে এই ব্যবস্থার সূচনা করেন। প্রাথমিক ভাবে বারুইপুর কামালগাজি বাইপাসের চারটি সিগন্যাল পয়েন্টে এই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু হচ্ছে। এ জন্য সিগন্যালে ক্যামেরা-সহ বিশেষ যন্ত্র বসানো হচ্ছে। কোনও গাড়ি সিগন্যাল ভাঙলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির সাহায্যে তা চিহ্নিত করবে এই যন্ত্র। তার ছবিও উঠে যাবে। সেই গাড়ির নম্বর দেখে, মালিককে চিহ্নিত করে তাঁর মোবাইলে চলে যাবে জরিমানার বার্তা। গোটা ব্যাপারটাই হবে কয়েক মিনিটের মধ্যে। গাড়ির মালিক অনলাইনে জরিমানা দিতে পারবেন। বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি ট্র্যাফিক কুতুবুদ্দিন খান বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ এবং বিধাননগর কমিশনারেটে এই ব্যবস্থা আছে। কিন্তু পুলিশ জেলাগুলির মধ্যে বারুইপুর পুলিশ জেলাতেই প্রথম এই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।’’
দিন কয়েক আগেও কামালগাজি পেরোনোর পরে দক্ষিণ শহরতলির কোনও রাস্তায় সে ভাবে সিগন্যাল ছিল না। সম্প্রতি শহরতলিতে জোরদার করা হয়েছে সিগন্যাল ব্যবস্থা। পদ্মপুকুর, বারুইপুর-কামালগাজি বাইপাসের একাধিক জায়গায় সিগন্যাল বসানো হয়েছে। বারুইপুরে কুলপি রোডের বিভিন্ন জায়গাতেও নতুন সিগন্যাল বসেছে। তবে অনেক জায়গায় পুলিশি নজরদারি না থাকায় সিগন্যাল ভাঙার অভিযোগ উঠছে। তা রুখতেই নতুন এই ব্যবস্থা বলে জানান ডিএসপি। তাঁর কথায়, ‘‘সব সিগন্যালে সব সময়ে পুলিশকর্মী রাখা সম্ভব নয়। আর পুলিশকর্মী না থাকলে আরোহীরা সিগন্যাল মানছেন না। লাল আলো সত্ত্বেও রাস্তা পেরোচ্ছে গাড়ি। ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। এটা রুখতেই এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।’’
বারুইপুর-কামালগাজি বাইপাসের যাত্রী সহদেব দাস বলেন, ‘‘আমাদের সুবিধার জন্যই সিগন্যাল চালু হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই চালকেরা সিগন্যাল মানেন না। ফলে পথচারীদের ঝুঁকি বেড়ে যায়। পুলিশকর্মী না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়ারও কেউ থাকে না। এই ব্যবস্থা হলে নিয়মানুবর্তীতা আসবে।’’