দেবাঞ্জন দাস
নিমতায় যুবককে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত রিভলভারটি উদ্ধার করল পুলিশ। এই ঘটনায় ধৃত প্রিন্স সিংহকে মঙ্গলবার রাতে সঙ্গে নিয়ে দমদমের লক্ষ্মীনগরে গিয়ে
একটি ঝোপের ভিতর থেকে সেটি উদ্ধার করেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিন্স স্বীকার করেছে যে, ওই রিভলভার দিয়েই দমদমের বাসিন্দা দেবাঞ্জন দাসকে খুন করেছিল সে।
দুর্গাপুজোর সময়ে নবমীর রাতে নিমতা স্কুল রোডে খুন হন দমদমের দাগা কলোনির বাসিন্দা, বছর কুড়ির দেবাঞ্জন। তাঁর পরিবারের দাবি, বারবার বলা সত্ত্বেও প্রথমে খুনের অভিযোগ নিতে চায়নি নিমতা থানা। দেবাঞ্জন গাড়িতে করে তাঁর বান্ধবীকে নিমতায় ছেড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়েই গাড়িটি থামিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয় দেবাঞ্জনকে। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে গুলি করে খুনের প্রমাণ মেলে। তখনই জানা যায়, দেবাঞ্জনের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক প্রিন্স এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
ঘটনার ১২ দিন পরে প্রিন্সের এক বন্ধু বিশাল মারুকে গ্রেফতার করে নিমতা থানার পুলিশ। পরদিন বজবজ থেকে প্রিন্সকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর থেকে প্রিন্স পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে। এই ঘটনার তদন্তভার আপাতত কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিডি) হাতে রয়েছে। এত দিন জেরা করেও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশের দাবি, প্রিন্স একেক বার ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছিল পুলিশকে। পুলিশ তাকে সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি জায়গায় গেলেও রিভলভারটি উদ্ধার করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত এ দিন রাতে তাঁকে নিয়ে লক্ষ্মীনগরে যায় পুলিশ। সেখানেই একটি ঝোপ দেখিয়ে দেয় প্রিন্স। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় একটি রিভলভার। কমিশনারেটের ডিসি (ডিডি) অজয় ঠাকুর জানান, প্রিন্স ওই অস্ত্র কোথা থেকে পেল, তা জানার চেষ্টা চলছে।