South Dum Dum

ফুটপাত ছাপিয়ে রাস্তায় বাজার, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজারমুখী রাস্তায় এই ছবিটা নতুন নয়। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি এই সমস্যা আরও বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৫৭
Share:

দমদম রোডের একাংশ দখল করে বসেছে বাজার ও দোকান। নিজস্ব চিত্র।

ফুটপাত জুড়ে তো বটেই, সকাল ও সন্ধ্যায় বসা বাজার ফুটপাত ছাপিয়ে চলে আসে রাস্তার কিছুটা অংশেও। এলাকার লোকজনের পাশাপাশি বাইরে থেকেও অনেকে এসে বাজার করেন। কিন্তু এর ফলে রাস্তার পরিসর কমে গিয়ে গাড়ি চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। যাতায়াত করতে গিয়ে মুশকিলে পড়ছেন পথচারীরাও।

Advertisement

দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজারমুখী রাস্তায় এই ছবিটা নতুন নয়। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি এই সমস্যা আরও বেড়েছে। দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, এই বাজারটি ছাড়াও আরও কিছু জায়গায় এমন সমস্যা সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল। যান চলাচল মসৃণ রাখতে এবং পথচারীদের হয়রানি কমাতে বাজারের বিক্রেতাদের শৃঙ্খলায় আনা হবে।

পুরসভা এই কথা বললেও রাস্তার এমন অবস্থায় স্থানীয়েরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের বক্তব্য, দমদম স্টেশন এবং মেট্রোকে ঘিরে প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ যাতায়াত করেন। রুজির কারণে বাজার গড়ে উঠেছে, তা নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু বিক্রেতারা বিশৃঙ্খল ভাবে বসে পড়বেন কেন? কর্মসূত্রে প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করেন শুভেন্দু বসাক। তাঁর কথায়, ‘‘দমদম স্টেশন সংলগ্ন এই রাস্তা একটি পুর এলাকার প্রবেশপথ। যেখানে সর্বত্র সৌন্দর্যায়ন করছে প্রশাসন, সেখানে এই বাজারটি নিয়েও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা দরকার।’’

Advertisement

সমস্যা মেনে নিয়েছেন কাউন্সিলরেরাও। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কতটা অংশে বাজার বসবে এর আগে তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা মানা হচ্ছে না। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকান্ত সেনশর্মা জানান, ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পুরসভা কয়েক বার অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু বিক্রেতাদের অনেকেই বার বার এসে ফুটপাতে বসছেন। সুকান্তের আশা, বাগজোলা খালের উপরে কালভার্ট তৈরি হয়ে গেলে এই সমস্যা কমতে পারে। তবে এই রাস্তায় আরও স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করার প্রস্তাব তিনি পুরসভাকে দিয়েছেন।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ পার্থ বর্মা জানান, ফুটপাত থেকে রাস্তার একাংশ দখলদারির এমন সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই পর্যালোচনা করা হয়েছে। পথচারী এবং বিক্রেতা, উভয়ের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement