Jadavpur University Student Death

প্রতিবাদ, মিছিলে নিত্য ভোগান্তি যাদবপুরের বাসিন্দাদের

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মঞ্চ বেঁধে চলা অবস্থান-বিক্ষোভ পুলিশ তুলে দিলেও ভোগান্তি কমেনি। শনিবারও একটি রাজনৈতিক দলের তরফে ফের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৩ ০৭:০২
Share:

থমকে: বড় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল ব়্যাগিং-বিরোধী নাগরিক মিছিল। তার জেরেই এলাকার অলিগলিতে যানজট চলে বেশ কয়েক ঘন্টা। শুক্রবার, যাদবপুরে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।

দু’কিলোমিটার পথ পেরোনোই যেন এখন আতঙ্কের! কখনও মিটিং-মিছিলে আটকে থাকা গাড়ির লম্বা লাইনের পিছনে দাঁড়াতে হচ্ছে, কখনও পড়তে হচ্ছে থানার সামনে বিক্ষোভ, অবস্থানের জেরে যানজটের ফাঁসে। এ ছাড়া, একাধিক গার্ডরেল রেখে গোটা এলাকায় পুলিশি বিধি-নিষেধ তো আছেই। পরিস্থিতি এমনই যে, পথে বেরোনোই এখন কার্যত দায় হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের।

Advertisement

ছাত্র-মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আন্দোলন, পাল্টা আন্দোলনে সপ্তাহভর কার্যত ‘মিছিলনগরী’তে পরিণত হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংলগ্ন চত্বর। মঞ্চ বেঁধে অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে শুরু করে থানার সামনের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ, কোনও কিছুই কার্যত বাদ যায়নি। কখনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার হওয়া মিছিলের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গড়িয়াহাট রোড (সাউথ) অবরুদ্ধ হয়েছে। কখনও তার প্রভাব গিয়ে পড়েছে রাজা এস সি মল্লিক রোডে। যার জেরে এলাকার বাসিন্দাদের একটি বড় অংশকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। দিনের বেলায় পরিস্থিতি তা-ও সামলানো গেলেও সন্ধ্যা হলে, গাড়ির চাপ বাড়লে যানজট ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন হচ্ছে যে, সংলগ্ন ঢাকুরিয়া, গল্ফ গ্রিন এলাকার বাসিন্দাদেরও গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে। একাধিক রাস্তা পুলিশের তরফে গার্ডরেল দিয়ে আটকে দেওয়ার ফলে ভোগান্তি আরও বাড়ছে বলে অভিযোগ।

শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মঞ্চ বেঁধে চলা অবস্থান-বিক্ষোভ পুলিশ তুলে দিলেও ভোগান্তি কমেনি। শনিবারও একটি রাজনৈতিক দলের তরফে ফের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। যার ফলে ফের যানজটের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত এক সপ্তাহ ধরে রোজ অফিস থেকে বাড়ি পৌঁছতে এক থেকে দু’ঘণ্টা দেরি হচ্ছে। প্রতিবাদের নামে সাধারণের ভোগান্তি কত দিন মেনে নেওয়া যায়!’’ লালবাজারের এক ট্র্যাফিককর্তা বলেন, ‘‘যানজট কমাতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement