Bowbazar

‘এক কাপড়ে বেরিয়ে এসেছি, ছেলের দুধটাও আনতে পারিনি’

স্মিতা-প্রিয়মের মতো অবস্থা ওই এলাকার অন্য বাসিন্দাদেরও। ছোট থেকে ক্রমশই বড় হচ্ছে ফাটল।

Advertisement

সোমনাথ মণ্ডল

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩৫
Share:

বাড়িতে ফিরতে পারবেন তো! দুশ্চিন্তায় এলাকাবাসী —নিজস্ব চিত্র।

স্বামীর কাঁধে মাথা দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিজের বাড়ির দিকে এগোচ্ছিলেন স্মিতা বসাক। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও বাড়ির গলিতে ঢুকতে পারেননি তিনি। বাড়িতে ফাটল ধরা পড়ায় দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে হোটেলে উঠতে হয়েছে স্মিতাদেবীকে। ছেলের দুধটুকুও নিয়ে আসতে পারেননি। টাকাপয়সা-নথিপত্র তো অনেক দূরের ব্যাপার!

Advertisement

সোমবার সকালেও পুলিশ, মেট্রোকর্মীদের দেখে তাঁর আকুতি, ‘‘আমাদের বাড়িটা ফিরিয়ে দিন। কেন আপনারা পরীক্ষা না করে সুড়ঙ্গ করছিলেন?কেন এক জামাকাপড়ে বেরিয়ে আসতে হল আমাদের? ছেলের মুখের দুধ‌ও ফেলে আসতে হল! কে দায় নেবে?’’পথচলতি মানুষ, ওই এলাকার অন্যান্য বাস্তুহারারা, কান্নায় ভেঙে পড়া স্মিতাদেবীকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। যদিও তাঁর কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেননি পুলিশ বা মেট্রোকর্মীরা।

আরও পড়ুন: ধরাই পড়েনি জলস্তর! মেট্রোর মাটি পরীক্ষার গলদেই বউবাজারের এই বাড়ি বিপর্যয়​

Advertisement

স্মিতা-প্রিয়মের মতো অবস্থা ওই এলাকার অন্য বাসিন্দাদেরও। ছোট থেকে ক্রমশই বড় হচ্ছে ফাটল। যেমন সেকরা পাড়ার বাসিন্দা নিরঞ্জন পাল বলেন, ‘‘ওই এলাকার বাড়িগুলি ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরনো। মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়ারদের সে কথা মাথায় রাখা উচিত ছিল। অনেক বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত।’’

আরও পড়ুন: নতুন করে ফাটল একাধিক বাড়িতে, ক্ষোভ ও আতঙ্ক বাড়ছে বৌবাজারে​

এদিন বউবাজার এলাকায় বেশ কয়েকটি সোনার দোকান বন্ধ ছিল। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারপরেও উদ্বেগ কাটছেনা বাসিন্দাদের। হোটেল নয়, তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছেন যে কোনও মূল্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement