মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে সচেতন নন বাসিন্দারা

এ দিন বিধাননগর পুর এলাকার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল পল্লিতে বিশেষ অভিযান চালায় প্রায় ৩০-৪০ জন পুরকর্মীদের একটি দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

মশা দমনে বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন পুরকর্মীরা। খোলা জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে, সে দিকে লক্ষ রাখতে বাসিন্দাদের বোঝাচ্ছেন। তার পরেও এলাকাবাসীর একাংশ যে পুরকর্মীদের কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না, সোমবার অভিযানে গিয়ে তা চাক্ষুষ করলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুর আধিকারিকেরা।

Advertisement

এ দিন বিধাননগর পুর এলাকার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নজরুল পল্লিতে বিশেষ অভিযান চালায় প্রায় ৩০-৪০ জন পুরকর্মীদের একটি দল। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্য আধিকারিকেরা। দেখতে পান, কোথাও পরিত্যক্ত টায়ারে জল জমেছে, কোথাও ডাবের খোলায় জল। প্লাস্টিকের বালতিতেও জল জমে। পুরকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বহু বাড়িতে নিয়মিত চৌবাচ্চার জল বদলানো হয় না। সেই জলে ডিম পাড়ে মশা।

এ দিনের অভিযানে কিছু জায়গায় মশার লার্ভা মিলেছে। পুর প্রতিনিধিরা মেনে নিয়েছেন, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ নিয়ে স্থানীয়দের একাংশ এখনও সচেতন নন। পুরকর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশা মারার তেল ও ধোঁয়া দিচ্ছেন, বাসিন্দাদের বোঝাচ্ছেন। কিন্তু তার পরেও ছবিটা বদলাচ্ছে না। এ দিনও একটি বাড়িতে ঢুকে আধিকারিকেরা একটি চৌবাচ্চা ভেঙে দেন। আর একটি চৌবাচ্চার জমা জল ফেলে দেওয়া হয়।

Advertisement

যদিও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পুর প্রশাসনেরই আরও তৎপর হওয়া উচিত। অভিযোগ, খোলা নর্দমা, রাস্তার খানাখন্দ থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় জল জমার প্রবণতা রয়েছে। বাণীব্রতবাবু বলেন, ‘‘নিয়মিত ওয়ার্ডে মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হয়। কিন্তু সচেতনতা ফেরেনি। তাই এই বিশেষ অভিযান। টানা এমন অভিযান চলবে। পাশাপাশি এলাকায় জল জমলে তা সরাতে আরও তৎপর হবে পুরসভা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement