দেড় বছর ধরে এ ভাবেই জল জমে রয়েছে রাস্তায়। নিজস্ব চিত্র
ভাঙা রাস্তার মেরামতি এবং সেখানে জমে থাকা জল সরাতে আসতে হবে খোদ বিধায়ককে। এমনই দাবি তুলে নন্দীগ্রামের কায়দায় রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার রাত থেকে অবরোধ চলল রবিবার দুপুর পর্যন্ত।
ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া পুরসভার ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে, আড়ুপাড়ার কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমির পিছনে। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বছর তিনেক আগে স্থানীয় কাউন্সিলরের মৃত্যুর পরে এখনও পর্যন্ত এই ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়নি। ওয়ার্ডটি যেহেতু শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, তাই সেটি দেখভালের দায়িত্বে আছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান বিধায়ক জটু লাহিড়ী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রামরাজাতলা স্টেশন থেকে যে রাস্তাটি হাওড়া-আমতা রোড এবং বালিটিকুরিকে যোগ করেছে, সেই রাস্তায় গত দেড় বছর ধরে জমে রয়েছে জল। একাধিক জায়গায় রাস্তা ভেঙেচুরে এবড়ো-খেবড়ো হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রায় দিনই লেগে থাকে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমনকি, জমা জলে জন্মাচ্ছে মশার লার্ভাও।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২০১৮ সাল থেকে এখানে রাস্তার বেহাল দশা। ধাড়সা মনসাতলার কাজীপাড়া থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত রাস্তা খুবই খারাপ। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।’’
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এখন ঠান্ডা পড়েছে। তা-ও এই রাস্তার বেশির ভাগ অংশ জলমগ্ন। সেই জল মাড়িয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ দিন তাঁরা দাবি তোলেন, যত ক্ষণ না স্থানীয় বিধায়ক জটু লাহিড়ী নিজে এসে রাস্তা সারানোর আশ্বাস দিচ্ছেন, তত ক্ষণ অবরোধ চলবে।
এ ব্যাপারে জটুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ওখানে আমি যাব না। ওঁরা বললেই রাস্তা হয়ে যাবে? রাস্তার দরপত্র জমা পড়েছে। কাজ শুরু হয়ে যাবে শীঘ্রই।’’ বিধায়ক না এলেও পুলিশ এসে প্রশাসনিক স্তরে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবশেষে অবরোধ ওঠে।