নব-মহাকরণে আগুন লেগেছিল গত শুক্রবার। তার তিন দিন পরে, সোমবার আগুনের উৎস সঠিক ভাবে চিহ্নিত করতে না পারলেও এসি থেকে যে ওই আগুন লাগেনি, সে বিষয়ে নিশ্চিত পূর্ত দফতরের কর্তারা। সোমবার গোটা বিষয়টি পর্যালোচনা করার পরে তাঁদের অনুমান, সম্ভবত কম্পিউটারের ইউপিএস থেকে ওই আগুন লেগেছিল। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পূর্ত দফতর যে নোট পাঠিয়েছে, সেখানেও আগুনের সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এসি মেশিনকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনার পরে দমকল মন্ত্রী জাভেদ খান বলেছিলেন, ‘‘পঞ্চায়েতমন্ত্রীর ঘরের এসি থেকে অনেক কার্বন বেরিয়েছে। সম্ভবত এসি থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’’ প্রাথমিক ভাবে সেই ধারণা হয়েছিল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদেরও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টির উপরে তাই প্রথমে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি, নব-মহাকরণের যে তলে আগুন লেগেছিল, সেই তলটি বাদ দিয়ে বাকি সব তলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সোমবার চালু করে দেওয়া হয়। আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে অষ্টম তল বাদ দিয়ে ওই বাড়ির বাকি সব অফিস খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য নব-মহাকরণের ছাদে যে রেডারটি বসানো ছিল, এ দিন সেটিও চালু করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারের ওই আগুনে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দফতর। এ দিন মন্ত্রী সাত তলায় তাঁর সচিবালয়ের ঘরে বসেছিলেন। ঘটনার পরে সুব্রতবাবু বলেছিলেন, ‘‘অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হচ্ছে।’’ এ দিন তিনি বলেন, ‘‘চূড়ান্ত রিপোর্ট না পেয়ে মন্তব্য করব না।’’ এ দিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কয়েক জন ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করতে গেলে আপত্তি জানান পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারেরা। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘গোটা নব-মহাকরণ ভবনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আমরা দেখি। অন্য কোনও দফতরের এক্তিয়ার নেই এই কাজ করার।’’ তার পরে ওই ইঞ্জিনিয়ারেরা আর কাজ করেননি।