আরম্ভ: লকডাউনের মধ্যেই টালা সেতু ভাঙার কাজ চলছে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
কাজ থমকে ছিল কয়েক দিন। সেখানেই এখন ফের শুরু হয়েছে কর্মযজ্ঞ।
মঙ্গলবার থেকে আবার চালু হয়েছে টালা সেতু ভাঙার প্রক্রিয়া। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, লকডাউনের জেরে সেতুর নীচে ট্রেন চলাচল কার্যত বন্ধ থাকায় এটাই টালা সেতু ভাঙার সব চেয়ে ভাল সময়। মাঝেরহাট সেতুর পুনর্নির্মাণের কাজ তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে। তবে লকডাউন চলাকালীন ওই সেতুর কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে রাজ্য প্রশাসনের দাবি। দু’টি সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হতে তাই দেরি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা অবশ্য বলেন, ‘‘যা পরিস্থিতি, তাতে টালা সেতু ভাঙার কাজে ততটা দেরি না-ও হতে পারে। সেতু ভাঙা চলছে। আশা করা যায়, ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই সেই পর্ব চুকে যাবে।’’ পূর্ত দফতরের একাংশেরও সেটাই ধারণা। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, সব দিক দেখে লকডাউনের সময়ে সেতু ভাঙার কাজ চালু রাখা না-ও যেতে পারে। স্থানীয় চিৎপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেতুর একটি গার্ডার কিছুটা বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল। তাই তড়িঘড়ি সেতু ভাঙায় হাত লাগাতে হয়েছে। তবে সেতু ভাঙার পুরো কাজ এখন শেষ না-ও হতে পারে।
মাঝেরহাট সেতুর কাজের সঙ্গে যুক্ত বেশির ভাগ শ্রমিকই নিজেদের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন এখন। আর টালা সেতুর কাজ যাঁরা করছেন, তাঁদের অধিকাংশই প্রকল্প এলাকায় থেকে গিয়েছেন। পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, থেকে যাওয়া শ্রমিকদের করোনা-সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক একের সঙ্গে অপরের দূরত্ব রেখে তাঁদের থাকতে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক শ্রমিকের উপরে নজরও রাখা হচ্ছে। ন্যূনতম শরীর খারাপের খবর পেলেও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাঁদের খাওয়া বা পথ্যের উপযুক্ত ব্যবস্থা যাতে থাকে, সে দিকে নজর রেখেছে প্রশাসন। এই অবস্থায় শ্রমিকদের থাকার জায়গায় মশা বা পোকামাকড়ের উপদ্রব ঠেকাতে ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। স্বাধীনতা দিবসের আগে ওই সেতু চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা যে সম্ভব হবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের কথায়।