বেহাল: খানাখন্দে ভরা যশোর রোড। রবিবার, বারাসতের রথতলা এলাকায়। ছবি: সুদীপ ঘোষ।
লাগাতার বৃষ্টিতে কলকাতা বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেট এলাকা থেকে বারাসত ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত যশোর রোডের বহু জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়েছিল। ভেঙেচুরে বেহাল হয়ে পড়েছিল ওই অংশটি। পুজোর আগে সেখানে তাপ্পি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তবে পূর্ত দফতর জানাচ্ছে, আগামী নভেম্বর থেকে ওই রাস্তা নতুন করে তৈরি করার কাজ শুরু হবে। এর জন্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ তো বটেই, বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেও কলকাতায় যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা যশোর রোড। বিমানবন্দরের এক নম্বর গেট এলাকায় ভিআইপি রোড এবং আড়াই নম্বর গেট এলাকায়
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এসে মিশেছে এই রাস্তায়। গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় তাই গাড়ির চাপ সব সময়েই বেশি থাকে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় গাড়ির গতি কমে গিয়ে যানজট তৈরি হচ্ছে আড়াই নম্বর-সহ বারাসতমুখী বেশ কিছু এলাকায়।
পূর্ত দফতর জানাচ্ছে, আড়াই নম্বর গেট এলাকা থেকে বারাসতের ন’পাড়া কালীমন্দির পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হবে। পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক রবিবার জানান, রাজ্য জুড়ে সাড়ে চারশো রাস্তা নতুন করে তৈরি এবং সংস্কারের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বারাসতগামী এই রাস্তাটিও।
দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা জানান, আড়াই নম্বর গেট থেকে ন’পাড়া পর্যন্ত অংশটি পাঁচ বছর আগে শেষ বার নতুন করে তৈরি হয়েছিল। তার পরে বিভিন্ন সময়ে শুধু সংস্কারের কাজ হয়েছে। আধিকারিকদের ব্যাখ্যা, করোনার কারণে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় মানুষ যাতায়াতের জন্য গাড়ির উপরে নির্ভর করছেন। ফলে আগের তুলনায় যশোর রোডে গাড়ি চলাচল কয়েক গুণ বেড়েছে। যার জন্য রাস্তার পিচের আস্তরণ দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তার উপরে এ বার বৃষ্টির জল জমে থাকা অবস্থাতেই যশোর রোডের ওই অংশ দিয়ে ভারী গাড়ির চলাচলও রাস্তার ক্ষতি করেছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বারাসতের পরেই চার লেনের রাস্তা নতুন করে তৈরি হয়েছে। আগামী নভেম্বরে আড়াই নম্বর এলাকারও কাজ শুরু হবে। দ্রুত তা শেষ করার নির্দেশও রয়েছে।’’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কয়েক দিন আগেই আড়াই নম্বর গেট থেকে এক নম্বর গেট পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লাগছিল। যানজটের নানা কারণের মধ্যে অন্যতম ছিল ভাঙা রাস্তা। রবিবারও বারাসত-রথতলা চত্বরে দেখা গিয়েছে যশোর রোডের বেহাল অবস্থা। গঙ্গানগর, মদিনানগর, বিরাটি-সহ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারাও রাস্তা ভাঙার কথা জানাচ্ছেন।
এ দিন এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেন, ‘‘যানজটের কারণ শুধুই ভাঙা রাস্তা নয়। অন্য সমস্যাও রয়েছে। গত ১ ও ২ অক্টোবর রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়েছে। দিনের বেলা কলকাতাগামী রাস্তায় কাজের অনুমতি না পাওয়ার জন্যও সংস্কারের কাজে খানিকটা দেরি হয়েছে।’’