ভগ্নদশা: বাধা পেয়ে এ ভাবেই থমকে আছে কাজ। বৃহস্পতিবার, দত্তপুকুরের শুঁড়িপুকুরে। ছবি: সুদীপ ঘোষ
দুর্ঘটনা এড়াতে জাতীয় সড়কের দু’ধারে উঁচু নিকাশি নালা তৈরি করে দিয়েছিল পূর্ত দফতর। যাতে নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া ইচ্ছে মতো কেউ জাতীয় সড়ক পারাপার করতে না পারেন। এই নিয়ে বেধেছে সংঘাত। স্থানীয়দের বাধায় রাস্তার কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে পূর্ত দফতর। যার ফলে ভেঙেচুরে পড়ে রয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তার এক দিক বন্ধ করেও রাখা হয়েছে।
দত্তপুকুর থানা এলাকার শুঁড়িপুকুর থেকে খিলকাপুরের মধ্যে এক কিলোমিটার রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে জমে রয়েছে বৃষ্টির জল। গত এপ্রিল থেকেই ওই অবস্থা। পূর্ত দফতরের দাবি, চার লেনের রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। স্থানীয় স্তর থেকে বাধা আসায় ওই এক কিলোমিটারে কাজ করা যাচ্ছে না। পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের ডিভিশন-৫ এর আধিকারিকেরা জানান, মোট ছ’কিলোমিটার রাস্তা হবে। ওই এক কিলোমিটার রাস্তার উপরের স্তরের কাজ শুধু বাকি।
কলকাতা থেকে বাসে কিংবা গাড়িতে উত্তরবঙ্গ পৌঁছতে গেলে শুঁড়িপুকুরের উপর দিয়েই যেতে হয়। কড়া বিধিনিষেধে গাড়ির চাপ কম থাকায় এখন ওই জায়গায় কলকাতামুখী রাস্তাটি খোলা রয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই দুর্বিষহ যে গর্তের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় শুঁড়িপুকুর থেকে উত্তরবঙ্গমুখী রাস্তা বন্ধ রেখেছে পুলিশ। গাড়ির চাপ যখন বাড়বে, তখন রাস্তার এক দিক দিয়ে বাস-সহ সব গাড়ি চলাচল করলে যানজট অনিবার্য বলেই মনে করা হচ্ছে। পূর্ত দফতরের দাবি, দিন পনেরোর কাজ বাকি আছে। এক আধিকারিকের কথায়, “গর্ত মেরামতি করলে রাস্তা চালু করা যাবে। পরে আবার রাস্তা ভাঙবে। তাই রাস্তা তৈরি করাটা এ ক্ষেত্রে জরুরি।”
সমস্যার সমাধানে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাও করেছে পূর্ত দফতর। এ নিয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। ব্লকস্তরে এটা নিয়ে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”