ফাইল চিত্র।
আমূল সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই। এ বার উদ্বোধনের অপেক্ষায় ঐতিহ্যবাহী টাউন হল।
বছর চারেক আগে ছাদের চাঙড় খসে পড়ায় কলকাতা পুরসভা পূর্ত দফতরকে টাউন হল সংস্কারের দায়িত্ব দেয়। বর্তমান পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার জানান, পূর্ত দফতর আইআইটি রুরকির তত্ত্বাবধানে সেই কাজ শেষ করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই টাউন হলের দরজা সবার জন্য খুলে যাবে। এক সময়ে ঐতিহ্যবাহী এই ভবনেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল বলে জানালেন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কিউরেটর জয়ন্ত সেনগুপ্ত।
রাজ্য পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক জানান, টাউন হলের বাইরের কাঠামোর পরিবর্তন না করেই ভবনের ভূমিকম্প-নিরোধক ব্যবস্থা মজবুত করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে টাউন হলের সংগ্রহশালা। এ বিষয়ে টাউন হল এবং মিউজ়িয়াম সংরক্ষণ কমিটির চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন জানান, পুরনো কলকাতার জীবনযাত্রা, শিল্প, বাণিজ্য-সহ যাবতীয় ইতিহাস
সংগ্রহশালায় ডিজিটাল মাধ্যমে ধরে রাখা হবে। যা গবেষণায় কাজে লাগবে। কলকাতা পুরসভার সচিব হরিহরপ্রসাদ মণ্ডল জানান, সংগ্রহশালাকে সমৃদ্ধ করতে খড়্গপুর আইআইটির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলার একাধিক আন্দোলন ধরা থাকবে সেখানে।
প্রসঙ্গত, ১৮১৩ সালে বাস্তুকার মেজর জেনারেল জন গার্স্টিন রোমান ডোরিক স্থাপত্যের এই ভবন নির্মাণ করেন। পূর্ত দফতরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, তৈরির পর থেকে বিভিন্ন সময়ে টাউন হলের সংস্কার হয়েছিল। তবে ভবনের পূর্ব, পশ্চিমের পুরনো দেওয়ালের সঙ্গে নতুন দেওয়াল তোলার (ইঞ্জিনিয়ারিং পরিভাষায় ‘শেয়ার ওয়াল’) পাশাপাশি উত্তর, দক্ষিণের দেওয়াল ও স্তম্ভগুলির ভূমিকম্প নিরোধক ব্যবস্থা মজবুত করার কাজ প্রথম হল।