—ফাইল ছবি
টালা সেতুর নীচে বসবাস করা লোকজনের পুনর্বাসনের প্রশ্নে এ বার মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। রাজা হাজরা এবং বিশ্বজিৎ মণ্ডল নামে দুই ব্যক্তির দায়ের করা ওই মামলার শুনানি হল সোমবার। হলফনামা দিয়ে আবেদনকারী ও তাঁদের বিরোধী সরকার পক্ষকে বক্তব্য জানাতে বলেছেন বিচারক সব্যসাচী ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, পুজোর আগে টালা সেতুর বিপজ্জনক অবস্থা চোখে পড়ার পরে সেতু সারাইয়ের জন্যই নীচের বাসিন্দাদের দফায় দফায় সরিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবশ্য দাবি, ‘‘হাইকোর্টে আবেদনকারীদের এক জন ওই এলাকার বাসিন্দা নন। আদালতের নির্দেশ মতো ওই তল্লাটে যাবতীয় সরকারি পদক্ষেপ কী হল, তা জানানো হবে।’’ অন্য দিকে টালা সেতুর নীচের ঝুপড়িবাসীদের তরফে আইনজীবী সায়ন্তী সেনগুপ্তের বক্তব্য, ‘‘হাইকোর্ট বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখতে চাইছে।’’ ওই বাসিন্দাদের দাবি, বিনা নোটিসে তাঁদের অনেককে সেতুর নীচ থেকে আশপাশে সরানো হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কয়েক জনের ডেঙ্গিও হয়েছে। তাঁদের কী অবস্থা, সাত দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছে আদালত। সরকার পক্ষকেও ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে।
কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা এ দিন বলেন, ‘‘প্লাস্টিকের ছাউনিতে প্রায় সকলেরই পুনর্বাসন হয়ে গিয়েছে। বাকি চার-পাঁচ জনকেও কলকাতা স্টেশনের কাছে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। হাইকোর্ট যা নির্দেশ দেবে, তা মাথায় রেখেই আমরা পদক্ষেপ করব।’’ আগামী ৭ জানুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানি।