—প্রতীকী ছবি
গত মে মাসে ঘূর্ণিঝড় আমপানের তাণ্ডবে জাতীয় সড়ক-সহ হাওড়ার বিভিন্ন রাস্তায় লাগানো একাধিক সিসি ক্যামেরা বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেগুলি এখনও ঠিক হয়নি। আর এই সুযোগে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে ওই রাস্তাগুলিতে। অধিকাংশ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠছে দ্রুত গতিতে চলা মোটরবাইক-আরোহী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাদের লক্ষ্য মূলত মোটরবাইক-আরোহী দম্পতিরা। পুলিশ সূত্রের খবর, নম্বর প্লেটবিহীন মোটরবাইকে চেপে তীব্র গতিতে এসে মুহূর্তের মধ্যে মহিলাদের গলার হার বা হাতে থাকা ব্যাগ ছিনতাই করে পালাচ্ছে ওই দুষ্কৃতীরা। তাদের ধরতে এ বার ছুটির দিনগুলিতে অতিরিক্ত গতিসম্পন্ন এবং নম্বর প্লেটবিহীন বাইকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল হাওড়া সিটি পুলিশ।
সপ্তাহখানেক আগে মোটরবাইকে স্বামীর সঙ্গে জাতীয় সড়ক ধরে কোলাঘাটে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। সঙ্গে ছিল তাঁদের শিশুপুত্র। মাঝপথে বাইকে চেপে এসে ওই মহিলার সোনার হার ছিনতাই করে পালায় তিন দুষ্কৃতী। এ ছাড়া, ডুমুরজলা স্টেডিয়াম চত্বর এবং শিবপুর থানা এলাকায় গত দু’মাসে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, প্রতি ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা নম্বর প্লেটবিহীন বাইকে এসে মানিব্যাগ, মোবাইল বা সোনার গয়না ছিনিয়ে চম্পট দিয়েছে।
এমন একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার পরে নড়ে বসেছে হাওড়া সিটি পুলিশ। জাতীয় সড়কে চলা বাইকের উপরে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোনও বাইকের নম্বর প্লেট না থাকলে বা অস্পষ্ট হলে চালকদের আটকে জবাবদিহি শুরু করছেন অফিসারেরা। পাশাপাশি, প্রবল গতিতে জাতীয় সড়কে যাঁরা বাইক চালাচ্ছেন, তাঁদেরকেও থামিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বাইকের গতি একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে বলা হচ্ছে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, সমস্ত খারাপ ক্যামেরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সারানো হচ্ছে। ধূলাগড় ট্র্যাফিক গার্ড, সাঁকরাইল এবং ডোমজুড় থানাকে এই ধরনের নজরদারি ও ধরপাকড় চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক দফতরের ওই কর্তা বলেন, ‘‘শহরের ভিতরে যারা এই ছিনতাইয়ে জড়িত আর জাতীয় সড়কে যারা ছিনতাই করছে, তারা একই দল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি কোনা ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরা রাস্তায় নেমে অতিরিক্ত গতির বাইকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন। ধূলাগড় টোল প্লাজ়া থেকে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার অংশ জুড়ে নম্বর প্লেটবিহীন বাইকের বিরুদ্ধে ধরপাকড় চলছে।’’