প্রতীকী ছবি।
সকালের ভিড়ে ঠাসা এলাকা। তার মধ্যেই প্রিজ়ন ভ্যান থেকে চম্পট দিল ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক যুবক। পুলিশকর্মীরা তাকে জাপটে ধরলেও সে কোনও রকমে হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়। পিছনে ধাওয়া করেও ধরা যায়নি। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে বারাসতে। পুলিশ জানায়, ফেরার আসামির নাম মিন্টু মণ্ডল। তার বাড়ি অশোকনগর থানার বিড়া এলাকায়। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি আবাসনের কেয়ারটেকার ছিল মিন্টু। রবিবার রাতে এক মহিলাকে ইতিউতি ঘোরাফেরা করতে দেখে মিন্টু তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। তার পরে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে ওই মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে সোমবার রাতে বারাসতের বনমালীপুর এলাকা থেকে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে।
মঙ্গলবার সকালে ওই যুবককে আদালতে তোলার আগে নিয়ম অনুযায়ী থানা থেকে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে ফেরার পথে বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে পুলিশের গাড়িটি দাঁড়ায়। তখনই মিন্টু গাড়ি থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই গাড়িতে আসামি হিসেবে মিন্টু একাই ছিল। পাহারায় ছিলেন দুই পুলিশকর্মী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মিন্টুকে প্রথমে জাপটে ধরেন এক পুলিশকর্মী। কিন্তু তাঁর হাত ছাড়িয়ে দৌড় লাগায় মিন্টু। পিছু নেয় পুলিশও। কিন্তু মিন্টু ভিড়ে মিশে যায়।
এর পরে বিস্তর খোঁজাখুঁজি শুরু হলেও বিকেল পর্যন্ত মিন্টুকে ধরতে পারেনি পুলিশ। ধর্ষণের মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর এ দিন বলেন, ‘‘হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে ফেরার পথে ধর্ষণের মামলায় ধৃত ওই আসামি পালিয়ে গিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।’’ তিনি আরও জানান, প্রিজ়ন ভ্যানের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। গাফিলতি প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সুপার।