—প্রতীকী ছবি।
নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার জন্য বৃহস্পতিবার রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের অনুমতি মিলল।
এর ফলে নিউ গড়িয়া থেকে রুবির মধ্যে ৫.৪ কিলোমিটার মেট্রোপথের পাঁচটি স্টেশনের মধ্যে পরিষেবা শুরু করতে আর বাধা রইল না। মেট্রো সূত্রে জানানো হয়েছে, বৈদ্যুতিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থায় একটি ট্রেনের পরিষেবা শুরু করতে ওই অনুমতি মিলেছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে নিউ গড়িয়া-রুবি ছাড়াও জোকা-মাঝেরহাট এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেডের মধ্যে পরিষেবা শুরুর লক্ষ্য নিয়ে রেল মন্ত্রকের নির্দেশে দ্রুত প্রস্তুতি চলছিল। গত রবিবার থেকে ওই মেট্রোপথগুলির ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি পরীক্ষা করছিলেন মেট্রো রেলের মুখ্য সেফটি কমিশনার। নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথে পরিষেবা শুরুর ছাড়পত্র গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই মিলেছিল। তবে পরে ট্রেন চালানোর জন্য বৈদ্যুতিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা যোগ করা হয়। ওই ব্যবস্থা-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো পরীক্ষা গত বুধবার সম্পূর্ণ করেন চিফ রেলওয়ে সেফটি কমিশনার জনককুমার গর্গ। তার পরদিনই ওই মেট্রোয় পরিষেবা শুরুর ছাড়পত্র মিলল।
তবে জোকা-মাঝেরহাট এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত অংশের মধ্যে পরিষেবা শুরুর অনুমতি এখনও মেলেনি। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ওই অনুমতি পাওয়া নিয়ে আশাবাদী। যদিও চিফ রেলওয়ে সেফটি কমিশনার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা জানিয়েছেন। দ্রুত সেই সব সমস্যা মিটিয়ে ওই সংক্রান্ত তথ্য তাঁর কাছে পাঠানোর কথা বলেছেন কমিশনার। হাওড়ায় যাত্রীদের ভিড়ের কথা ভেবে রেল স্টেশন থেকে মেট্রোয় প্রবেশ ও প্রস্থানের পথ ঘিরে দিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপযুক্ত চিহ্ন (সাইনেজ) ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
জল চুঁইয়ে আসার সমস্যা ছাড়াও নির্মাণগত কিছু সমস্যা জানিয়েছেন সেফটি কমিশনার। প্ল্যাটফর্মে বসানো আয়নার কারণে সিসি ক্যামেরার দৃষ্টি ব্যাহত হওয়ার কথাও জানান তিনি। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে থার্ড রেলে বিদ্যুৎ সংযোগ দ্রুত বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা ছাড়াও প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন সুড়ঙ্গে বিশেষ আলো লাগানোর কথাও বলা হয়েছে। এসপ্লানেড স্টেশনে বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্য উপযুক্ত চিহ্ন ছাড়াও কিছু পরিকাঠামো সংস্কার করতে বলা হয়েছে। লিফ্টে সিসি ক্যামেরা বসাতে বলেছেন সেফটি কমিশনার।
পূর্ব ও পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে কিছু মেরামতির জন্য এসপ্লানেড স্টেশনের একাংশ খোলা রাখতে হচ্ছে। ওই অংশকে যাত্রীদের ব্যবহারের পরিসর থেকে আলাদা রাখতে বলা হয়েছে। পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ থেকে জমিয়ে রাখা জিনিস সরাতে নির্দেশ দিয়েছেন সেফটি কমিশনার। এই সব সমস্যা কাটিয়ে দ্রুত অনুমতি পেতে চাইছেন মেট্রোকর্তারা।