রবীন্দ্র জয়ন্তী। প্রতীকী ছবি।
এই নিয়ে পঞ্চম বার। সরকারি, সরকার-পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে এ বছরেও পালিত হল না রবীন্দ্র জয়ন্তী। ২০২০ ও ’২১ সালে করোনার জন্য স্কুল বন্ধ ছিল। তার আগে ২০১৯ সালে গরমের ছুটি আগে শুরু হওয়ায় রবীন্দ্র জয়ন্তী করা যায়নি। একই ঘটনা ঘটে ২০২২ সালেও। যেটুকু হয়েছিল, তা অনলাইনে। সেই ধারা এ বারেও অব্যাহত। শিক্ষকেরা জানালেন, অনলাইনে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে মন ভরেনি পড়ুয়াদের।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বললেন, “শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বলা হয়েছিল পঁচিশে বৈশাখে স্কুল আসতে। তারা ছোট একটি অনুষ্ঠান করেছে। বাকি সব শ্রেণির অনুষ্ঠান অনলাইনে হয়েছে।” বেলগাছিয়া মনোহর অ্যাকাডেমির শিক্ষিকা সুমনা সান্যাল জানালেন, পড়ুয়াদের নিয়ে রবীন্দ্রনৃত্য, রবীন্দ্রসঙ্গীত, কবিতা ও নাটকের ছোট কয়েকটি ভিডিয়ো তৈরি করে মঙ্গলবার সকালে ইউটিউবে আপলোড করা হয়। বাঙুরের নারায়ণ দাস বাঙুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানান, তাঁদের স্কুলের পড়ুয়াদের সকলের বাড়িতে স্মার্টফোন নেই। ফলে, অনলাইনে রবীন্দ্র জয়ন্তী করলে সবাই অংশ নিতে পারত না। সঞ্জয় বলেন, “স্কুল খুললেই অফলাইনে রবীন্দ্র জয়ন্তী হবে।” যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, “আমরাও স্কুল খুললে অনুষ্ঠান করব।” মিত্র ইনস্টিটিউশনের (ভবানীপুর) প্রধান শিক্ষক রাজা দে-র কথায়, “অনলাইনে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেছি।”