গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে এ বার পথে নামতে চলেছেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরাও। আগামী রবিবার কুমোরটুলি আর্ট গ্যালারির সামনে থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করবেন তাঁরা। সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই সেই মিছিলের পোস্টার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে লেখা— ‘কুমোরটুলি দিচ্ছে হাঁক, আমার দুর্গা বিচার পাক’।
মৃৎশিল্পীদের সংগঠন ‘কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংস্কৃতি সমিতি’র ডাকেই এই মিছিল হবে। শিল্পীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের লোকজনও যোগ দেবেন মিছিলে। সংগঠনের সম্পাদক বাবু পাল বলেছেন, ‘‘কুমোরটুলি মৃৎশিল্পের পীঠস্থান। আমরা মাটির দুর্গা নির্মাণ করি। কিন্তু, রক্তমাংসের দুর্গা ধর্ষিত হয়েছেন, খুন হয়েছেন। তাই বিচার চেয়ে পথে নামছি আমরা।’’ পুজোর মুখে এই সময়টায় প্রবল ব্যস্ততা থাকে কুমোরটুলিতে। তার মধ্যেও পথে নামছেন তাঁরা।
‘কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংস্কৃতি সমিতি’র ডাকা মিছিলের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার মিছিল হবে কুমোরটুলিতে। ঘটনাচক্রে, তার পরের দিন সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। বৃহস্পতিবার শুনানির দিন থাকলেও তা হয়নি। আদালত সূচি প্রকাশ করে জানিয়েছে, সোমবার প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হবে। তার আগের দিন রবিবার বহু সংগঠন নতুন করে পথে নামতে চলেছে।
আরজি কর-কাণ্ডে যে ভাবে নাগরিক আন্দোলন ক্রমশ নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে, তাতে পুজোয় কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। ইতিমধ্যে কলকাতা-সহ জেলার বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্য সরকারের অনুদান না নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সার্বিক ভাবে পুজোয় রাজ্য জুড়ে যে ব্যবসা হয়, এ বার তা কতটা হবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বাণিজ্য মহলের। সেই আবহেই এ বার আরজি করে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মিছিলে শামিল হচ্ছেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা।