কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
কসবার স্কুলে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এ দিন মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেন সরকারি কৌঁসুলি। তিনি জানান, স্কুলের ১৪ দিনের ভিডিয়ো ফুটেজ পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক বিভাগে। সেখান থেকে পুরনো ছবি বার করতে বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই সরকারি কৌঁসুলি জানান, মৃত ছাত্রের মোবাইল ফোন তার পরিবার দেয়নি। কিন্তু সেটি পেলে কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে। কারণ, সংশ্লিষ্ট স্কুলে মান্ধাতা আমলের সিসি ক্যামেরা বসানো আছে। বর্তমান সময়ে যে সব ক্যামেরা-ব্যবস্থা আছে, তাতে এক মাসের ফুটেজ সংরক্ষিত থাকে। তা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, পুলিশ কেন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করেনি?
ওই ছাত্রের মোবাইল ফোন না দেওয়া নিয়ে তার পরিবারের আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় কোর্টে জানান, ওই পড়ুয়া তাঁর বাবার ফোন ব্যবহার করত। তিনি পেশায় দর্জি। পুজোর আগে রুটিরুজির কারণেই ফোন দেওয়ার সমস্যা আছে। তবুও পুলিশ আগামী দিনে তদন্তে গেলে ফোন দিয়ে দেওয়া হবে। তবে স্কুলের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, স্কুলে আধুনিক মানের সিসি ক্যামেরা আছে। সেখানে ১৫ দিন পর্যন্ত ছবি সংরক্ষিত থাকে।
পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে বিচারপতির প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের কৌঁসুলি দাবি করেন যে, ৪ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রের মৃত্যুর পরেই ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেন ড্রাইভে নিয়ে আসে। কিন্তু পরে পুলিশ বুঝতে পারে যে, সেখানে সব ছবি নেই। তাই ছবি পুনরুদ্ধার করতে হবে।
সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি সেনগুপ্তের নির্দেশ, ২৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সেখানে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে পুলিশকে। জমা দিতে হবে কেস ডায়েরিও।