কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।
শৌচাগার অপরিচ্ছন্ন, লিফ্টের ঘরের দেওয়ালে পান-গুটখার পিকের দাগ চুন দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বর তেমন সাফসুতরো নয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমন দশা চোখ এড়ায়নি খোদ মুখ্যমন্ত্রীর। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের তোপের মুখে পড়লেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এসএসবি ভবনে চিকিৎসাধীন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমনকে দেখতে বৃহস্পতিবার সেখানে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তাঁর যাওয়ার খবর পেয়েই তড়িঘড়ি সব কিছু ঠিকঠাক করার চেষ্টা হয়েছিল। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর চোখে পড়লেও তিনি প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। তবে, গোটা ঘটনায় অত্যন্ত বিব্রত বোধ করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। শুক্রবার তিনি কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ, কলকাতা পুরসভার সাফাই বিভাগ এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের স্বাস্থ্য ভবনে তলব করেন। সূত্রের খবর, কেন এত অপরিচ্ছন্নতা, তা নিয়ে প্রশ্ন করেন স্বাস্থ্যসচিব।
সূত্রের খবর, হাসপাতাল চত্বরে সাফাইয়ের পরে সাফাইকর্মীরা এ বিষয়ে সেখানকার কর্তৃপক্ষকে দিয়ে সই করিয়ে নেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক নিয়মিত তাতে সইও করেছেন। তা সত্ত্বেও এত অপরিচ্ছন্নতা কেন? নজরদারি কতটা চালানো হয়? এই প্রশ্ন করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তেমন কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলেই খবর। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এসএসবি ভবনের সামনে রয়েছে পাঁচ নম্বর গেট। তার বাইরেও রাস্তায় ওই দিন আবর্জনা জমে ছিল বিক্ষিপ্ত ভাবে। তড়িঘড়ি সেগুলি সাফাইয়ের চেষ্টা হলেও পুরোটা হয়নি। কেন এমন অবস্থা, তা-ও পুরসভার কাছে জানতে চাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, অবিলম্বে হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দূর করতে সাফাই অভিযান চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। কলকাতা মেডিক্যালের এক কর্তা বলেন, ‘‘হাসপাতালের উন্নয়নে সরকার প্রচুর টাকা খরচ করছে। সব ধরনের কর্মচারী রয়েছেন। তাঁরা ঠিক মতো কাজ করছেন কি না, তা দেখার জন্য বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকও রয়েছেন। তাঁদের আরও সক্রিয় হতে হবে। স্বাস্থ্যসচিবের নির্দেশ মতো সব কাজ করা হবে।’’