Barrackpore Case

গয়নার দোকানে ডাকাতি ও খুনে অধরা বাকিরা

সিসি ক্যামেরা ও মোবাইলের অবস্থানের সূত্র ধরে আনন্দপুরীর ওই ঘটনায় জড়িত দু’জনকে দেড় দিনের মধ্যে ধরে ফেলেছিল ব্যারাকপুর পুলিশ। কিন্তু, বাকিদের ধরতে সময় লাগছে কেন, এ বার তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ০৬:৪৯
Share:

ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও তাতে বাধা দেওয়ায় খুনের ঘটনার পরে পেরিয়ে গিয়েছে আট দিন। প্রতীকী চিত্র।

ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও তাতে বাধা দেওয়ায় খুনের ঘটনার পরে পেরিয়ে গিয়েছে আট দিন। এখনও ওই ঘটনায় জড়িতদের কয়েক জন অধরা। সিসি ক্যামেরা ও মোবাইলের অবস্থানের সূত্র ধরে আনন্দপুরীর ওই ঘটনায় জড়িত দু’জনকে দেড় দিনের মধ্যে ধরে ফেলেছিল ব্যারাকপুর পুলিশ। কিন্তু, বাকিদের ধরতে সময় লাগছে কেন, এ বার তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

ওই দুই অভিযুক্ত, সফি খান ও জামশেদ আনসারিকে যথাক্রমে রহড়া এবং বীরভূমের মুরারই থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ধৃত দু’জন পুলিশি হেফাজতে পাঁচ দিন ধরে রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য মিললেও বাকি অভিযুক্তেরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তদন্তকারীদের অভিমত, অন্য অভিযুক্তেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার কারণেই মূলত তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না।

আর এই যুক্তির পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের ‘নেটওয়ার্ক’ কি এখন মোবাইল নির্ভর? যা মাথায় রেখেই বহু ক্ষেত্রে পোড়খাওয়া দুষ্কৃতীরা অপরাধ ঘটানোর পর থেকে আর মোবাইল ফোন সরাসরিব্যবহার করছে না? ফলে অপরাধ ঘটিয়ে এক বার এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে তার অবস্থান বুঝতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে।

Advertisement

যদিও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিকের মতে, ‘‘একাধিক বার লক্ষ করে দেখাগিয়েছে, তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষত যে দুষ্কৃতী ফেরার, তার মোবাইলের শেষ অবস্থান-সহ বিভিন্ন তথ্য কিছু সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করে দেওয়ায়অপরাধীরা আরও বেশি সতর্ক হয়ে যাচ্ছে। তাতেই বিঘ্নিত হচ্ছে তদন্তের গতিপথ।’’

যদিও ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘এই ঘটনার ক্ষেত্রে আমি নিজেই বিষয়টি দেখছি। বিভিন্ন মাধ্যমে নানা রকম গল্প ছড়ানো হচ্ছে। প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার পাশাপাশি এ বার ভিন্ রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় আমাদের খবরের উৎস নেটওয়ার্ককে সক্রিয় করা হয়েছে। একটু সময় লাগছে ঠিকই, তবেএই ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও ধরে ফেলা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement