— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পশ্চিমবঙ্গ কারিগরি শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক উন্নয়ন দফতরের অধীনে একাদশ ও দ্বাদশের বৃত্তিমূলক পাঠক্রম এ বার হবে সিমেস্টার পদ্ধতিতে। সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে ওই দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সিমেস্টারের অনুকরণে বৃত্তিমূলক একাদশ ও দ্বাদশে মোট চারটি সিমেস্টার হবে। একাদশ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় সিমেস্টার এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে হবে তৃতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টার। এর মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় সিমেস্টারে থাকবে মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন (এমসিকিউ), দ্বিতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারে ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন। কারিগরি শিক্ষা দফতরের অধীনে রাজ্য জুড়ে ১২৬৩টি স্কুলে এই বৃত্তিমূলক পাঠক্রম চলে। যদিও সিমেস্টার পদ্ধতিতে ওই পাঠক্রমে পড়ানোর মতো পরিকাঠামো আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
যারা একাদশ ও দ্বাদশ থেকেই হাতেকলমে কাজ শিখে উপার্জনের পথে হাঁটতে চায়, তারাই মূলত একাদশ-দ্বাদশে এই বৃত্তিমূলক পাঠক্রম নিয়ে থাকে। এমনটাই জানিয়ে কারিগরি শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, এগ্রিকালচার, বিজ়নেস অ্যান্ড কমার্স এবং হোম সায়েন্স— এই চারটি বিষয়ের উপরে পড়ানো হয় বৃত্তিমূলক পাঠক্রম। এদের মধ্যে আবার স্পেশালাইজ়েশনও আছে। যেমন, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে আছে বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন, অটোমোবাইল-সহ কিছু বিষয়। এই পাঠক্রমের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে। জাতীয় শিক্ষা নীতিতেও একে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই পাঠক্রম সিমেস্টার পদ্ধতিতে শুরু হলে পড়ুয়ারা খুবই উপকৃত হবে।’’
কিন্তু সিমেস্টার পদ্ধতিতে বৃত্তিমূলক পাঠক্রম পড়ানোর মতো পরিকাঠামো কি রয়েছে? কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষক ও কর্মচারী ইউনিয়নের প্রধান উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘এই পাঠক্রম চালাতে পরিকাঠামোজনিত নানা খামতি আছে। যাঁরা পড়ান, তাঁরা বেশির ভাগই চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। সেই শিক্ষকদের অভাব রয়েছে। তাঁদের বেতনও খুব কম। পর্যাপ্ত বই নেই। নেই পর্যাপ্ত গবেষণাগারও।’’ তবে কারিগরি শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সিমেস্টার পদ্ধতিতে পড়ানো নিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পরিকাঠামোর উন্নতি করা হচ্ছে। নতুন যন্ত্রপাতি কেনারও পরিকল্পনা রয়েছে।’’