RG Kar Medical College and Hospital Incident

ওসির গ্রেফতারিতে শীর্ষস্তরের নীরবতায় ক্ষোভ নিচুতলায়, প্রশমনের চেষ্টা

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীর খুন এবং ধর্ষণের মামলায় শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ। আপাতত তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ওই আধিকারিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০০
Share:

অভিজিৎ মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।

সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে গেলেন লালবাজারের পুলিশ কর্তারা। সোমবার দুপুরে সার্ভে পার্কে তাঁর ফ্ল্যাটে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল ভি সলোমন নেসাকুমার-সহ তিন পুলিশ কর্তা। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা অভিজিতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন বলে খবর। আর জি কর-কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়া ওই পুলিশ আধিকারিকের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিতেই তাঁরা এ দিন গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পুলিশকর্তারা।

Advertisement

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীর খুন এবং ধর্ষণের মামলায় শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ। আপাতত তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ওই আধিকারিক। ধৃত তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশীদার বলে আদালতে দাবি করেছে সিবিআই। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁকে গ্রেফতারের পরেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে কলকাতা পুলিশের নিচুতলার পুলিশকর্মীদের মধ্যে। কেন ওসি-র গ্রেফতারির পরে পুলিশকর্তারা কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুললেন না, তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে প্রশ্ন তুলতে থাকেন নিচুতলার কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রবিবার লালবাজারে পুলিশকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসতে হয় নগরপাল বিনীত গোয়েলকে। দফায় দফায় সেই বৈঠক হয়। একাধিক থানার ওসি সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই বৈঠকের পরের দিন, অর্থাৎ সোমবার দুুপুরে অভিজিতের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান লালবাজারের শীর্ষ পুলিশকর্তারা।

জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে অতিরিক্ত নগরপাল ভি সলোমন নেসাকুমারের সঙ্গে ছিলেন উপ-নগরপাল বিদিশা কলিতা এবং আরিশ বিলাল। দীর্ঘক্ষণ তাঁরা অভিজিতের স্ত্রী-সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ দিন নেসাকুমার বলেন, ‘‘কলকাতা পুলিশ একটা পরিবার। সেই পরিবারের সদস্য অভিজিৎ। আমরা সব রকম ভাবে পাশে থাকা এবং সাহায্যের বার্তা দিতেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে এসে কথা বললাম।’’

Advertisement

এ দিন অভিজিতের স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের দুই মেয়ে আছে। আমরাও চাই, এই
ঘটনার বিচার হোক। আর বিচারের জন্য যা যা করার, তা-ই করেছেন আমার স্বামী। সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরে সব রকম ভাবে উনি সিবিআই-কে সাহায্য করেছিলেন। আমার মনে হচ্ছে, বিষয়টি অন্য দিকে ঘোরানো হচ্ছে।’’ এ দিন বিকেলে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে অভিজিতের পোশাক ও ওষুধ দিয়ে আসেন সঙ্গীতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement