—প্রতীকী চিত্র।
বর্ষবরণের রাতে কসবার বাইক দুর্ঘটনায় আহত তরুণীর মৃত্যু হল হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতে ই এম বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বন্দনা দাসের (২৪)। তবে তরুণীর মৃত্যুর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে মৃতার পরিবার। দুর্ঘটনার পরে বার বার বলার পরেও তাঁদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানো হয়নি বলে অভিযোগ। এমনকি, সঙ্গী যুবকের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পরিবারের। তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
৩১ ডিসেম্বর রাতে কসবা এলাকার একটি শপিং মল থেকে বন্ধুর সঙ্গে বাইকে চেপে ফিরছিলেন মুকুন্দপুরের বাসিন্দা বন্দনা। রাত ১২টা নাগাদ রাসবিহারী কানেক্টরে শপিং মল সংলগ্ন মোড়ে একটি গাড়ি তাঁদের মোটরবাইকটিকে ধাক্কা দিয়ে চম্পট দেয়। এক যুবক
ও তরুণীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে রাতেই রুবি সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে দু’জনকে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে যুবককে ছেড়ে দেওয়া হলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তরুণী। তরুণীর মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল।
সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় তরুণীর। যদিও তরুণীর মৃত্যুর পরেই গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন তুলেছে তাঁর পরিবার। মৃতার বোন বনিতা দাস জানান, গড়িয়ার একটি সংস্থায় কাজ করতেন বন্দনা। ঘটনার রাতে বাড়ি ফিরে তার পরে বেরিয়েছিলেন তিনি। যদিও কোথায় বা কার সঙ্গে যাচ্ছেন, তা বাড়িতে কিছুই জানাননি। বনিতার কথায়, ‘‘রাত পৌনে ১১টা নাগাদ দিদি একটা মেসেজ করেছিল। বলল বাড়ি ফিরতে রাত ২টো বাজবে। আমাকে ঘুমিয়ে পড়তে বলেছিল। পরে শুনি ওর দুর্ঘটনা ঘটেছে। কী ভাবে, কী হল সব নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশকে বার বার বলার পরেও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানো হয়নি।’’ এমনকি, দুর্ঘটনার পর থেকে যে যুবকের বাইকে বসে বন্দনা যাচ্ছিলেন, তিনিও কোনও খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ। ফলে তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বন্দনার পরিবারের। ঘটনায় তাঁরা থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে জানান বনিতা।
কসবা থানার পুলিশ যদিও ওই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণীর দেহের ময়না তদন্ত করা হয়েছে।