কিন্তু বার বার দুর্ঘটনার পরে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। প্রতীকী চিত্র।
ছুটির সকালে শহরে ফের বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলের গায়ে ধাক্কা মারল একটি গাড়ি। রবিবার সকালের এই দুর্ঘটনায় পাঁচিলের একাংশ ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি কার্যত চুরমার হয়ে যায় গাড়ির সামনের অংশ। তবে চালক ছাড়া গাড়িতে থাকা আরোহীদের তেমন আঘাতলাগেনি। কিন্তু বার বার ওই এলাকায় দুর্ঘটনার পরে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল আটটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। হসপিটাল রোড ধরে রেড রোডের দিকে আসছিল লাল রঙেরগাড়িটি। তাতে চালক-সহ পাঁচ জন ছিলেন। বেপরোয়া গতিতে আসার সময়ে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে পার্ক স্ট্রিটের দিকে ঘোরার মুখে নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। গাড়িটি সটান গিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলের গায়ে সজোরে ধাক্কা মেরেকিছুটা এগিয়ে যায়। বিকট আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেড রোডে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরা। গাড়ি থেকে সকলকে বার করা হয়। আহত চালককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, তীব্র গতির কারণেই এ দিন দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সাতসকালে এমন ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় রেড রোড সংলগ্ন এলাকার প্রাতর্ভ্রমণকারীদেরমধ্যে। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শীবলেন, ‘‘গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সকলেই কমবয়সি। তীব্র গতিতে আইল্যান্ড ঘুরতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’
যদিও ফোর্ট উইলিয়াম সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। বছর দুয়েক আগে একটি বেপরোয়া মিনিবাস এক পুলিশকর্মীকে পিষে দিয়ে পাঁচিলে উঠে গিয়েছিল। তার পরেও ওই চত্বরে ঘটেছেছোটখাটো একাধিক দুর্ঘটনা। বার বার দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে ওই এলাকায় গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনা ঠেকাতেসতর্কতামূলক যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে ফোর্ট উইলিয়ামেরআশপাশে।