PWD

PWD: জমি-জট মেটানোর ভার কাউকে দিতে ‘নারাজ’ রাজ্য

নবান্ন সূত্রের খবর, পাইপলাইন বসানোর ছাড়পত্র পেতে রেল, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং অন্য সরকারি দফতরের সঙ্গে কথা বলবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরই।

Advertisement

দেবাশিস ঘড়াই

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৪২
Share:

ফাইল চিত্র।

বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে জমি-জট বাধা না হয়, তাই জমি সংক্রান্ত বিষয় কর্পোরেশন এবং পুরসভার হাতে ছাড়তে নারাজ রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। নবান্ন সূত্রের খবর, পাইপলাইন বসানোর ছাড়পত্র পেতে রেল, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং অন্য সরকারি দফতরের সঙ্গে কথা বলবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরই।

Advertisement

দফতরের হাতে জমি সংক্রান্ত আলোচনা কেন্দ্রীভূত করার নেপথ্য কারণ হিসাবে প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকল্প রূপায়ণে বাধা হয় জমি। শুধু যে পর্যাপ্ত জমির অভাব হয়, তা নয়। অনেক সময়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার মালিকানাধীন জমিতে পাইপ বসানোর বা নেওয়ার কাজ করা যাবে কি না, সেই ছাড়পত্র পাওয়াটাও সময়সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।

পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, জলের পাইপ বসানো এবং জমি সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ের জন্য কর্পোরেশন/পুরসভাগুলির পরিবর্তে দফতরের তরফেই রেল বা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হবে। তা হলে কি কর্পোরেশন/পুরসভার কাজের ‘তৎপরতা’ নিয়ে সংশয় রয়েছে? চন্দ্রিমাদেবীর কথায়, ‘‘একদমই তা নয়। বিষয়টি হল, কর্পোরেশন বা পুরসভাগুলি এ বিষয়ে কথা বললে রেল বা অন্য দফতর যতটা গুরুত্ব দেবে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে দফতরের তরফে সরাসরি কথা বলা হলে। তা ছাড়া প্রকল্প রূপায়ণে সমন্বয়ও থাকবে।’’

Advertisement

এ বিষয়ে অনেকে প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে জমি জটিলতা, সাঁতরাগাছি ঝিলের দূষণ কমানোর জন্য প্রস্তাবিত নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট তৈরির জন্য রেল-রাজ্যের মধ্যে মতানৈক্য-সহ একাধিক ঘটনার কথা উল্লেখ করছেন। যেমন, সিএনজির পাইপলাইন বসাতে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘গেল (ইন্ডিয়া) লিমিটেড’ জমির সমস্যার কথা জানিয়েছিল জাতীয় পরিবেশ আদালতে। উত্তরে রাজ্য জানিয়েছিল, জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সম্মতিতেই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। কোনও কোনও জায়গার ক্ষেত্রে তা করতে গিয়ে দেরি হতে পারে। কারণ, স্থানীয় অনেক বিষয় সেখানে জড়িত। সেগুলির সমাধান না করে জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। সেটা রাজ্য সরকারের নীতি নয়।

ফলে এ ধরনের জটিলতা এড়াতেই এ বার সতর্ক পদক্ষেপ করতে চাইছে রাজ্য। এমনকি, বাড়ি-বাড়ি পানীয় জল পৌঁছনোর সংশ্লিষ্ট প্রকল্প রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় জমির মালিকানা রাজ্য সরকারের অন্য দফতরের হাতে থাকলে, সে ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে জমি কেনা বা হস্তান্তরের বিষয়টি পুর ও
নগরোন্নয়ন দফতরই করবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, রাজ্যের সব শহরে বাড়ি বাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্প শেষ করার সময়সীমা ধরা হয়েছে আগামী বছরের ডিসেম্বর। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রীর কথায়, ‘‘প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতোই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement