প্রতীকী ছবি
বেকায়দায় বুক ও পেটের সংযোগস্থলে লেগেছিল ঘুষি। তার পরেই নেতিয়ে পড়েন তেত্রিশ বছরের যুবক। অভিযোগ, যিনি মেরেছিলেন, তিনি ও কয়েক জন আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যান। সল্টলেকের সংযুক্ত এলাকা নয়াপট্টির বাসিন্দা রাজু মালের (৩৩) মৃত্যুর পরে এমনই দাবি পুলিশের। রাজুকে খুনের অভিযোগে তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও দু’-তিন জনের খোঁজ চলছে। ধৃতের নাম অরুণ চক্রবর্তী ওরফে গুড্ডু। অরুণ নয়াপট্টি বাজারের বাসিন্দা। তদন্তকারীদের দাবি, রাজু মোবাইল নিয়েছেন, এমন সন্দেহেই অরুণ তাঁকে ঘুষি মারেন।
পুলিশ জেনেছে, রাজু কাজকর্ম কিছুই করতেন না। অধিকাংশ দিনই মদের আসরে যোগ দিতেন। সোমবার নয়াপট্টি বাজারের কাছে বন্ধুদের সঙ্গে মদের আসর বসিয়েছিলেন রাজু। পুলিশের দাবি, সকলেই মত্ত অবস্থায় থাকার সময়ে অরুণ মোবাইল খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এক বন্ধু জানান, রাজু মোবাইল নিয়েছেন। তখন রাজুকে চেপে ধরে অরুণ। কিন্তু রাজু সে কথা অস্বীকার করলে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, অরুণ রাজুকে ঘুষি মারলে তিনি নেতিয়ে পড়েন। বন্ধুরাই তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর পরেই বন্ধুরা পালিয়ে যান। সন্ধ্যার দিকে প্রথমে রটে যায়, রাজুকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।
স্থানীয় দুই কাউন্সিলর মাইকেল মণ্ডল ও জয়দেব নস্কর খবর পেয়ে এলাকায় যান। রাজুর পরিবারকে তাঁরা স্থানীয় ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় পাঠান। রাতেই রাজুর বন্ধুদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, অরুণকে আটক করে জেরা করা হলে ঘটনার কথা সে স্বীকার করে। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে। মৃতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন থেকে পুলিশের অনুমান, তাঁকে একাধিক ঘুষি মারা হয়।