উত্তরের পাড়ায় পুজো

সব পাড়াতেই এখন পুজোর সাজ। চলছে মণ্ডপ তৈরি। প্রতিমা নির্মাণ। উত্তরের কোন পাড়ায় উ়়ৎসবের প্রস্তুতি কী হচ্ছে তার আগাম হদিস।সব পাড়াতেই এখন পুজোর সাজ। চলছে মণ্ডপ তৈরি। প্রতিমা নির্মাণ। উত্তরের কোন পাড়ায় উ়়ৎসবের প্রস্তুতি কী হচ্ছে তার আগাম হদিস।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৫ ০০:৫৪
Share:

বেলেঘাটা ৩৩ পল্লি। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

সম্মিলিত লালাবাগান

Advertisement

আমাদের মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে প্রায় ১২০০ শিল-নোড়া দিয়ে। থাকছে তালপাতার পাখা, কড়ি, সিঁদুর, ধান-দুর্বা, লাল-হলুদ-সাদা সুতোর ব্যবহার। তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম গ্রামের ঘর। থাকছে ছেনি ও হাতুড়ির সূক্ষ্ম কাজও। শিল্পী বিভাস বন্দ্যোপাধ্যায় বানাচ্ছেন প্রতিমা।

Advertisement

বরাহনগর ছাত্র সম্মিলনী

আমাদের ৬১তম বর্ষের ভাবনা ‘সৃষ্টির পুণ্যলগ্নে, মেতেছি আনন্দে’। এ বার পুজোয় খুঁজেছি সৃষ্টির রহস্য। সিন্ধু সভ্যতায় মাতৃমূর্তিতে পদ্মকে সৃষ্টির রহস্য ধরা হয়। তাই পদ্ম মানুষের অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ড হিসাবে রূপায়িত হয়েছে। সেখান থেকে বিকশিত হয়েছে প্রাণস্বরূপা সূর্য থেকে স্বয়ং ব্রহ্মা।

কৃষ্ণবাগান নবজীবন সঙ্ঘ

৪৬তম বর্ষের পুজোয় আমাদের ভাবনা দিল্লির লোটাস টেম্পল। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে প্যারাশুটের কাপড়, কাচের টুকরো ইত্যাদি। পদ্মের রঙিন পাপড়ি থেকে বেরোবেন প্রতিমা।

বেলেঘাটা ৩৩ পল্লি

আমাদের ভাবনা ‘শুদ্ধ সত্তা, শান্তি সুনিবিড়’। যুদ্ধের উপত্যকায় শান্তির বার্তা থাকবে মণ্ডপ জুড়ে। থার্মোকল, প্লাই, মাটি দিয়ে তৈরি মণ্ডপ যেন শান্তির আশ্রয়। শিল্পী সানি ও সুশান্ত থিমের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা গড়ছেন।

দুর্গাপূজা অগ্রণী (বেলেঘাটা)

আমাদের থিম ‘শ্রাবণের ধারা’। মণ্ডপে কৌটো, হাঁড়ি, সিলিং ফ্যান, ক্লিপ ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হবে ফুল, মেঘ, বৃষ্টি, নানা কীটপতঙ্গ। পুরো মণ্ডপে থাকবে ময়ূরের পেখমের আভাস। ভরতনাট্যমের একটি বিশেষ ভঙ্গিতে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা।

পটলডাঙা শারদীয়া মহাপূজা

আমাদের পটলডাঙা শ্রীশ্রী শারদীয়া মহাপূজা থিম বর্জিত। ঘরোয়া এউ পুজোয় কৃষ্ণনগরের আদলে তৈরি হচ্ছে সাবেক প্রতিমা। মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে পরিবেশের উপর নজর দিয়ে। পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিন পাড়ার বাসিন্দাদের নিয়ে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

সরকার বাগান সম্মিলিত সঙ্ঘ

আমাদের মণ্ডপে ঢুকলে আপনারা সরাসরি পৌঁছে যাবেন ফুলের স্বর্গে। তাই দুর্গাপুজোয় মাকে বরণের ভাবনা ‘পুষ্পাঞ্জলি’। এখানে পলিমারের তৈরি ফুলের উপরে প্রতিমা আসীন। প্রতিমার রূপদানে শিল্পী সনাতন পাল।

শ্যামবাজার সর্বজনীন (দেশবন্ধু পার্ক)

৭৫তম বর্ষে আমাদের ভাবনা সাবেকিয়ানা। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে রাজবাড়ির আদলে। ব্যবহার হচ্ছে কাঠ, বেত, শোলা ইত্যাদি। শিল্পী মিন্টু পাল এবং তপন পাল তৈরি করছেন সাবেক প্রতিমা। বিশাল মণ্ডপ ও মানানসই আলো এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

শোভাবাজার বড়তলা

৮২ বছরে পা দিল আমাদের পুজো। মণ্ডপ তৈরি করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩০০টি ত্রিশূল। পাশাপাশি থাকছে কাগজের মণ্ড দিয়ে তৈরি ১০৮টি পদ্মফুলও।

কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন (পশ্চিম) অধিবাসীবৃন্দ

প্রতি বছর আপামর বাঙালি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এই চার দিনের জন্য। বাঙালি জীবনের প্রাণশক্তি রূপ দুর্গাকে এখানে পাখির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। তাই এ বার আমাদের ভাবনা ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি/ ক্যামনে আসে যায়’। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে তিনটি কৃত্রিম শামুক যার ভিতরে দেবী আসীন। পুরো পরিকল্পনায় রয়েছেন শিল্পী রূপচাঁদ কুণ্ডু।

বেলেঘাটা বালকবৃন্দ ক্লাব

প্রতি বারের মতোই আমাদের প্রতিমা সাবেক। মণ্ডপ হচ্ছে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে। পুজো ছোট হলেও কিন্তু উৎসাহের কোনও অভাব নেই। ঘরোয়া পরিবেশে পাড়ার মহিলারা হাতে হাত মিলিয়ে আয়োজন করেন পুজোর।

দমদম তরুণ দল

আমাদের মণ্ডপে এসে দর্শক পৌঁছে যাবেন গাজনের মেলায়। থাকছে চড়কগাছ, গাজনের নানা উপকরণ, ঘুঙুর দিয়ে তৈরি ২৫ ফুটের নন্দীর মূর্তি। চড়কগাছ ঘিরে থাকবে মেলার ভিড়। এর জন্য থার্মোকল দিয়ে তৈরি হচ্ছে কয়েক হাজার ‘কাঠপুতুল’। মণ্ডপে থাকছে ডুগডুগি এবং ত্রিশূলের ইনস্টলেশন।

ট্যাংরা ঘোলপাড়া

আমাদের থিম ‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন’। পর্বত আকারের মণ্ডপ। মাথায় থাকবে নাগরাজ বাসুকীর মাথা। ঢোকার মুখে থাকছে খড় ও তালপাতার তৈরি সমুদ্রমন্থনের মডেল। ভিতরে মহাদেবের বিষপান ও সতীর বাঁচিয়ে তোলা দেখানো হবে। ছাদে থাকছে খড়ের আলপনা। চালচিত্রেও থাকছে খড়ের নকশা।

সম্মিলিত মালোপাড়া

৫১তম বর্ষে বিভিন্ন ধর্মে পদ্মফুলের গুরুত্ব তুলে ধরছি আমরা। মণ্ডপের মাঝে থাকছে গোলাপি-নীল-সাদা পদ্মের তৈরি ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের মূর্তি। থাকবে জল, পদ্মপাতা ও হাঁসের সাজ। প্রতিমাতে থাকবে আদিবাসী ছোঁয়া। মুকুটে ব্রহ্মকমল। মা থাকবেন পদ্মপাতার উপরে।

নির্ভীক সঙ্ঘ (বাগুইআটি)

আমাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রাজস্থানি পুতুল দিয়ে। বাঁশ, চট, প্লাস্টার অব প্যারিস, প্লাইউড, জয়পুরি কাপড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপসজ্জা। শিল্পী গৌতম বসুর ভাবনায় প্রতিমা রূপায়িত হচ্ছে। গোটা মণ্ডপ পুতুল নাচের মূর্ছনায় রঙিন হয়ে উঠবে।

বৃন্দাবন মাতৃমন্দির

বাড়িতে এক সময়ে যে সব জিনিস সযত্নে রাখা হত, কাজ ফুরিয়ে যেতেই সেই সবের ঠাঁই হয় বাতিল জিনিসের তালিকায়। কিন্তু তারও যে ব্যবহার করা যায়, সেই দৃষ্টান্ত তুলে ধরতেই মণ্ডপ সাজাচ্ছি ভাঙা টিনের বাক্স বা দুমড়ে যাওয়া সাইকেলের অংশে। মণ্ডপ থেকে প্রতিমা— সবেতেই থাকছে পুরনো জিনিসের ছোঁয়া।

উল্টোডাঙা সংগ্রামী

আমাদের হাতিয়ার ডোকরা শিল্প। পুরো মণ্ডপ সাজছে কাগজ আর সুতোয়। দেওয়ালে খোদাই করা দেবদেবীর মূর্তির কারুকাজ থাকছে গোটা মণ্ডপ জুড়ে।

দমদম পার্ক তরুণ সঙ্ঘ

নর্মদা কুণ্ড থেকে উৎপত্তি হয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে গুজরাতের মধ্য দিয়ে আরব সাগরে এসে মিশেছে নর্মদা নদী। ভারতীয় উপমহাদেশের পঞ্চম দীর্ঘতম এই তীরের সভ্যতাই উঠে এসেছে আমাদের এ বারের পুজোয়। দেখা যাবে নর্মদার তীরের বিভিন্ন উপজাতির শিল্পও। মাটি, কাপড়, বাঁশ এবং আয়নায় সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ। সাবেক প্রতিমা।

কর্মী সঙ্ঘ (বরাহনগর)

আমাদের মণ্ডপ তৈরি হবে মালাশঙ্খ, ঝিনুক, গুগলি, প্রবাল-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক জিনিসে। আক্রান্ত শৈশবের আর্তি তুলে ধরাই এ বার আমাদের প্রয়াস। প্রতিমাতেও উঠে আসবে সেই দুঃখী মায়ের রূপ।

জপুর ব্যায়াম সমিতি

২৬তম বর্ষে আমাদের ভাবনা ‘বাঁশ থেকে বাঁশি’। মণ্ডপ সাজবে বাঁশের তৈরি ল্যাম্পশেড, ফুল, মুখোশ, কৃষ্ণের মূর্তি দিয়ে। সন্দেশখালির শিল্পীরা এসেছেন বাঁশের কারুকাজ করতে। শিল্পী প্রশান্ত দাসের তৈরি প্রতিমা এখানে অসুরবধের পরে নৃত্যরতা ভঙ্গিতে। পুজোর দিনগুলিতে রোজ থাকবে এক বাঁশিওয়ালার বাদন।

পাতিপুকুর বসাকবাগান স্বস্তিক সঙ্ঘ

এ বছর আমাদের পুজোর ভাবনা ‘বিষহরি’। মনসামঙ্গল কাব্যের চাঁদ সদাগরের বিখ্যাত উপাখ্যান তুলে ধরতে মণ্ডপ সাজছে মেদিনীপুরের পটশিল্পে। থাকছে প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার একটি পঞ্চমুখী সাপ, যার ভিতরে আসীন শিল্পী নব পালের তৈরি দুর্গা প্রতিমা। গয়নাতেও ব্যবহার করা হচ্ছে সাপ। থাকছে কাশফুল ও ঘাসের তৈরি বিভিন্ন ইনস্টলেশন।

শোভাবাজার ৯-এর পল্লি (নরেন্দ্রকৃষ্ণ দেব পার্ক)

এ বার পুজোয় ইট-কাঠের জঙ্গল পেরিয়ে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবনে। আর তা পেয়ে যাবেন খাস কলকাতায় আমাদের পুজো মণ্ডপে। এখানে আপনাদের সবার সামনে জীবন্ত হয়ে উঠবে হাটের চিত্র, মৌমাছির মধু সংগ্রহ, বাঘের গর্জন ইত্যাদি। শিল্পী অমিত পালের তৈরি দেবীপ্রতিমা মৎস্যদেবীর আদলে তৈরি। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে প্লাস্টার অব প্যারিস, খড়, টিন, মাটি প্লাই, চাটাই ইত্যাদি দিয়ে। এ ভাবেই রঙিন হয়ে উঠছে আমাদের ‘সুন্দরবনের ইতিকথা’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও নবমীতে থাকছে মহাভোগের আয়োজন।

বিডন স্ট্রিট সর্বজনীন

৭৫তম বর্ষে আমাদের পুজোয় থিম নয়। প্রাণপ্রতিষ্ঠা পাবে সেই চিরন্তন, শাশ্বত সাবেকিয়ানাতেই। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামের আটচালার চণ্ডীমণ্ডপের আদলে। শিল্পী নারাণচন্দ্র পালের তৈরি সাবেক প্রতিমা সকলের নজর কাড়বে। মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাই, থার্মোকলের উপর নানা শৈল্পিক কাজ।

জনকল্যাণ পূজা কমিটি

আমাদের পুজো এ বার ৬২তম বর্ষে পদার্পণ করল। জাতিগত বিভেদ আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে এ বছর আমাদের পুজোমণ্ডপ সেজে উঠেছে একটি সাঁওতাল গ্রামের আদলে। সেই গ্রামে উপজাতিদের উপাসনালয়ে দেবী দুর্গা আসীন। ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে দেবীপ্রতিমাও বানানো হয়েছে উপজাতি রমণীর আদলেই।

তালতলা লর্ডপাড়া সর্বজনীন

এ বছর নবকলেবরকে মাথায় রেখেই আমাদের পুজোমণ্ডপ সেজে উঠেছে রঘুরাজপুরের নানা পটচিত্রের মাধ্যমে। সেখানে থকাছে ওড়িশার নানা লোকশিল্প, সংস্কৃতি। মণ্ডপের ভিতরে তিনটি রথের মধ্যে থাকছে শিল্পী সুবল পালের তৈরি প্রতিমা। প্রতিমা এখানে ওড়িশি সাজে সজ্জিত। প্লাই এবং বিভিন্ন পেন্টিংয়ের মাধ্যমে সেজে উঠছে মণ্ডপ।

বাগবাজার পল্লি পূজা ও প্রদর্শনী

আমাদের পুজোমণ্ডপ এ বার সেজে উঠেছে নাটমন্দিরের আদলে। বাঁশ, বাটাম ইত্যাদি দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। ভিতরে থাকছে শোলার কাজও। শিল্পী পরিমল পালের তৈরি অনন্যসুন্দর প্রতিমায় থাকছে সাবেকিয়ানা এবং আধুনিকতার ছোঁয়া। নবমীতে সকলের জন্য থাকছে মহাভোগের ব্যবস্থা। এ ছাড়া মাঠে পুজো হওয়ার দরুণ রঙিন মেলার আকর্ষণ তো থাকছেই।

শক্তিপুর জননগরী সর্বজনীন দুর্গোৎসব

শক্তিপুর সবুজশিখার আয়োজনে এ বার আমরা তুলে ধরছি গ্রামবাংলার কুটিরশিল্প। বাঁশ, বেত, মাদুরের তৈরি বিশেষ উপকরণ দিয়ে সাজানো হচ্ছে আমাদের পুজোমণ্ডপ। শিল্পী অনিল পাল থিমের সঙ্গে মানানসই প্রতিমা তৈরি করছেন। অভিনব আলোকসজ্জায় সজ্জিত হচ্ছে গোটা প্রাঙ্গণ।

রাসমণি বাগান কিশোর সঙ্ঘ

এ বার পুজোয় আমাদের ভাবনা ‘মঙ্গলম্’। জনসাধারণের মধ্যে মঙ্গলবার্তা তুলে দিতেই আমাদের এই ভাবনা। মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে হিন্দু ধর্মের নানা মঙ্গলসূচক চিহ্ন— স্বস্তিক, কুলো, পদ্ম, সিঁদুর ইত্যাদি দিয়ে।
শিল্পী সৌরভ নাগের তৈরি দেবীপ্রতিমা এখানে নৃত্যরতা।

লেকটাউন প্রগতিপল্লি অধিবাসীবৃন্দ

সেই কোন শৈশবে ফেলে আসা বায়োস্কোপে চোখ দিয়েই এ বার পুজোভ্রমণ করানোর দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। এখানে তৈরি হচ্ছে প্রায় ২৫ ফুটের দুর্গার মুখ। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহার করা হচ্ছে লোহা, থার্মোকল, প্লাস্টিকের ফুল, ফাইবারের মূর্তি ইত্যাদি। থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিল্পী অরিজিৎ আম্বলী তৈরি করছেন প্রতিমা।
এখানে আসলে শহর এবং মা এক হয়ে ধরা দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement