প্রতীকী ছবি।
অন্য বছরের তুলনায় এ বার মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও মৃত্যুর ঘটনা কিন্তু আটকানো যায়নি। এমনটাই জানাচ্ছে বিধাননগর পুরসভার তথ্য। এ দিকে বছরভর প্রচার চালানো হলেও উৎসবের আবহে যে তা থমকে যায়, মানছেন পুর কর্তৃপক্ষ। যার জেরে পরবর্তী সময়ে মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কাও থাকে। উৎসবের দিনগুলিতে তাই পুজো মণ্ডপকে প্রচারের জন্য বেছে নিতে চাইছে পুরসভা। সে কারণেই মণ্ডপগুলিতে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের প্রচারে ব্যানার ও ফ্লেক্স লাগানো হবে। কী করা উচিত অথবা কী নয়, সারাদিনে মাঝেমধ্যেই মাইকে সে সবও প্রচার করা হবে। এমনই জানাচ্ছেন বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ।
মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নানা ভাবে প্রচার চালিয়েও যে বাসিন্দাদের থেকে পর্যাপ্ত সাড়া মিলছে না তা স্বীকার করেছেন পুরকর্তাদের একাংশ। এ সব কারণেই একসঙ্গে অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে বেছে নেওয়া হচ্ছে মণ্ডপগুলি। মণ্ডপের পাশাপাশি, থানা এবং সরকারি-বেসরকারি অফিস এলাকাতেও রোগ প্রতিরোধে নিয়মমাফিক অভিযান চালানো হবে। কর্তৃপক্ষের মতে, যে ভাবে হোক জীবনহানি রুখতেই হবে। তাই বছরভর প্রচার ছাড়াও বেছে নেওয়া হয়েছে উৎসবের অঙ্গনকে।
বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, প্রতিটি পুজোর উদ্যোক্তাদের ব্যানার এবং ফ্লেক্স দেওয়া হবে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কী কী করতে হবে সে বিষয়ে প্রচারের জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে পেন ড্রাইভ এবং সিডি দেওয়া হবে। পুজোর প্রতিদিন কয়েক বার সেগুলি বাজিয়ে মানুষের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়াই যার উদ্দেশ্য। শুধু প্রচারই নয়, মণ্ডপের দৈনন্দিন আবর্জনা সরানো, থার্মোকল, রঙের কৌটো-সহ বিভিন্ন সামগ্রী যত্রতত্র না ফেলে রাখা, ফাঁপা বাঁশের মুখ ঢেকে রাখার মতো একাধিক বিষয় নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের সচেতন থাকতে নির্দেশ দেওয়া হবে।
মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, পুজোর সময়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে বিধাননগর পুর এলাকায়। সেই জনসমাগমের কথা ভেবেই মণ্ডপ এলাকা থেকে পরিচ্ছন্নতার বার্তা দিতে তৎপর হচ্ছে পুরসভা। যে সময়ে দর্শনার্থীদের
ভিড় থাকবে মণ্ডপে তার আগেই এলাকায় মশার তেল স্প্রে করায় জোর দেওয়া হবে।