এই ব্যক্তিদের নামেই আধার সংশোধনের নাম করে তথ্য জোগাড়ের অভিযোগ উঠেছে। নিজস্ব চিত্র
ফের কলকাতায় এনপিআর আতঙ্ক। মঙ্গলবার ওয়াটগঞ্জের মুন্সিগঞ্জ রোড এলাকায় কলকাতা পুরসভার কর্মচারী পরিচয় দিয়ে দুই ব্যক্তি একটি ফর্ম নিয়ে হাজির হন। অভিযোগ, ওই ফর্মে এনপিআর-এর কলম ছিল। বাড়ি বাড়ি ঘুরে তাঁরা তথ্যসংগ্রহ করছিলেন। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকা জুড়ে।
কিছু ক্ষণের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ায় বাসিন্দারা ওই ব্যক্তিদের ঘিরে ধরেন। যদিও কার অনুমতিক্রমে, কী কারণে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন তাঁরা, সে বিষয়ে ঠিক কোনও তথ্য দিতে পারেননি ওই দুই ব্যক্তি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আধার সংশোধনের নাম করে আসলে এনপিআর ফর্ম পূরণ করাতে এসেছিলেন ওই দুই ব্যক্তি।
এ দিন ওই দুই ব্যক্তিকে ঘেরাও করেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওয়াটগঞ্জের সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুরসভার নাম করে ষড়যন্ত্র চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এই রাজ্যে এনপিআর হচ্ছে না। তার পরেও কারা এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ।’’ সাধারণ মানুষকে আইন হাতে না তুলে নিতে অনুরোধ করেন তিনি। তাঁর পরামর্শেই ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ জানান এলাকার সাধারণ মানুষ। খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে।
আরও পড়ুন:যাদবপুরের জের? শেষ পর্যন্ত বদলিই করা হল ডিসি সুদীপ সরকারকে
আরও পড়ুন:আদালতের ভিতরেই বিচারককে লক্ষ্য করে জুতো, ফের হামলার চেষ্টা আইএস জঙ্গি মুসার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, এ রাজ্যে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর)-এর কাজ শুরু করা যাবে না। কিন্তু এ রাজ্যের দুই পুরসভায় সেই সংক্রান্ত কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কর্তব্যে এ হেন ‘বিচ্যুতি’র কারণে দুই পুরসভার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা কড়া শাস্তির মুখে পড়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র দফতর থেকেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এনপিআরের কাজ রাজ্যের কোথাও চালু করা যাবে না। এর পরেও কোথাও কোনও ভুল হলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।