প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এ রাজ্যে পথ-নিরাপত্তা বিধি ভাঙার ক্ষেত্রে জরিমানা আদায়ের নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে পরিবহণ দফতর। নতুন আইনে জরিমানার অঙ্ক পাঁচ থেকে দশ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। টাকার অঙ্কে যা ন্যূনতম ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা বা তারও বেশি।
বাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব, অটো-সহ গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত চালক ও ব্যবসায়ীদের একাধিক সংগঠন নতুন এই নির্দেশিকাকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছে। অতিমারি পরিস্থিতি এবং ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির সাঁড়াশি চাপের মুখে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চালক ও মালিকদের আয় তলানিতে এসে ঠেকেছে। এর মধ্যে বিপুল পরিমাণ জরিমানা আদায়ের নির্দেশিকা জারি হওয়ায় পরিবহণ ব্যবসায়ীদের অনেকেই আতঙ্কিত। তাঁদের বক্তব্য, ওই পরিমাণ জরিমানা দিতে গেলে ব্যবসাই গুটিয়ে ফেলতে হবে। নতুন জরিমানা-বিধি চালু করার প্রতিবাদে আজ, বৃহস্পতিবার পরিষেবা সচল রেখেই যৌথ ভাবে পথে নামছে বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব সংগঠন। ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’, ‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’, ‘বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন’ এবং ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’ ওই প্রতিবাদে শামিল হচ্ছে। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘নতুন নির্দেশিকা পরিবহণ শিল্পকে পথে বসাবে। এই নির্দেশিকা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই এর বিরুদ্ধে পথে নামছি।’’ ‘সিটি সাবার্বান সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা এবং ‘অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাসসমন্বয় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জরিমানা যথেচ্ছ ভাবে বাড়ানো হয়েছে। ওই টাকা মিটিয়ে গণপরিবহণ সচল রাখা কার্যত অসম্ভব।’’
বামপন্থী সংগঠন ‘এআইটিইউসি’র ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনও এই যৌথ প্রতিবাদকে নৈতিক ভাবে সমর্থন জানিয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার তাদের অ্যাপ-ক্যাব এবং ট্যাক্সিচালক সংগঠনও পথে নামছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতা নওলকিশোর শ্রীবাস্তব।