যানজটে হাঁসফাঁস অবস্থা মা উড়ালপুলের। —ফাইল চিত্র।
মা উড়ালপুল থেকে আরও একটি নতুন র্যাম্প গড়িয়াহাট সেতুর কাছে নামাতে চাইছে কেএমডিএ। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটসকে প্রকল্পের বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। তবে রাইটসের বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারেরা জানিয়েছেন, একটি একমুখী র্যাম্প করলে ভবিষ্যতে যান চলাচলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাঁদের প্রস্তাব, তাই এখনই দু’দিকে গাড়ি চলাচলের র্যাম্প তৈরি করাই ভাল। এ নিয়ে আলোচনাও চলছে কেএমডিএ-র শীর্ষ স্তরে।
নবান্ন সূত্রের খবর, কংগ্রেস এগজিবিশন রোড থেকে রবীন্দ্র সরোবরের দিকে যাওয়ার জন্য নতুন র্যাম্প তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাক। তার পরে গড়িয়াহাটের দিকে র্যাম্প তৈরির কাজ শুরু করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, সম্প্রতি সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কেএমডিএ-র শীর্ষ কর্তা এবং রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই দু’টি র্যাম্প তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের জন্য যা খরচ হবে, তা রাজ্য সরকােরর তরফে মঞ্জুর করা হবে বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।
কেন এই দু’টি র্যাম্পের প্রস্তাব?
রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশনের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, মা উড়ালপুল থেকে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ বরাবর নতুন র্যাম্প নামানো হলে গড়িয়াহাটের রাস্তায় যানজট কম হবে। এই রাস্তায় মূলত যানজট হয় বেকবাগান, মডার্ন হাইস্কুলের কাছে, গুরুসদয় দত্ত রোড, বিড়লা মন্দির, বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে। র্যাম্প হলে সেই যানজট হবে না বলে দাবি কর্তাদের। তাঁদের যুক্তি, দু’দিকে দু’টি র্যাম্প নামলে যাতায়াতের সুবিধা হবে, খরচও কম হবে। কারণ পরে তৈরি করা হলে খরচ বাড়বে। যেমন, লা মার্টিনিয়ার স্কুলের কাছে পরে একটি র্যাম্প নামানো হয়েছে।
কেএমডিএ এবং রাইটস সূত্রের খবর, গড়িয়াহাট পর্যন্ত এই নতুন র্যাম্পের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২.৪ কিলোমিটার। একটি র্যাম্প করা হলে তার খরচ পড়বে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে দু’টি র্যাম্প তৈরিতে ২৫০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। তিন মাসের মধ্যে রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশন সমীক্ষা করে কেএমডিএ-কে রির্পোট দেবে বলে সূত্রের খবর। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এ বিষয়ে। রাইটসের পক্ষ থেকে অবশ্য ইতিমধ্যেই নকশা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।