অরবিন্দ সেতু। ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও মেরামতির জন্য তিন দিন বন্ধ রেখে সম্প্রতি খুলে দেওয়া হয়েছে অরবিন্দ সেতু। কিন্তু তার পরেও সেটির স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেল। প্রাথমিক ভাবে ওই সেতু পরীক্ষা করে কিছু জায়গায় সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেএমডিএ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অরবিন্দ সেতুর সমস্যা ঠিক কোথায়? কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক ভাবে ওই সেতুটি ভার বহন ক্ষমতার পরীক্ষায় উতরে গেলেও সেটির বেয়ারিং এবং যার উপরে বেয়ারিং বসানো রয়েছে, সেই পেডেস্টালে সমস্যা ধরা পড়েছে। তবে সেগুলি শুধু সারাই করা হবে না কি পুরো পাল্টানো হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে সেতুটি তৈরি করেছিল কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ (কেআইটি)। তারাই সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করত। ২০১৭ সালের মার্চে কেএমডিএ-র সঙ্গে মিশে যায় কেআইটি। তার পরেই অরবিন্দ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তায় কেএমডিএ-র উপরে। আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছর তিনেক আগেও সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কর্তৃপক্ষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, কয়েক দশক ধরে ব্যবহারের ফলে সেতুর অনেক বেয়ারিং ক্ষয়ে গিয়েছে। সেগুলি পাল্টানো প্রয়োজন। প্রশ্ন উঠেছে, রিপোর্ট পাওয়ার পরেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, সেই সময়ে তৎকালীন কেআইটি কর্তৃপক্ষ অরবিন্দ সেতু মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে কেআইটি এবং কেএমডিএ মিশে যাওয়ায় পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। তা ছাড়া সেতু মেরামতির সময়ে সেটির নীচে এবং সংলগ্ন এলাকায় থাকা বসতির পুনর্বাসন নিয়েও সমস্যা ছিল।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, অরবিন্দ সেতু মেরামতি করতে হলে সেটি ফের কয়েক দিন বন্ধ রাখতে হতে পারে। যদিও সংস্থার আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, কাঠামো মেরামতি করতে হলে সেতুটি পর্যায়ক্রমে বন্ধ না করে এক বার বন্ধ রেখে কাজ করাই ভাল। ফলে, শহরের ওই অংশে ফের যানজটের আশঙ্কা কন্তু থেকেই যাচ্ছে।