প্রতীকী ছবি।
পুরসভার অনুমতি ছাড়াই তৈরি হচ্ছিল বাড়ি। সেই অভিযোগ পেয়ে নোটিস পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিল পুর প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন সংশ্লিষ্ট প্রোমোটার। সেই অপরাধে ওই প্রোমোটারকে চার বছর কারাবাসের নির্দেশ দিল কলকাতা পুর আদালত। সোমবার এই নির্দেশ দেন পুর আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপকুমার অধিকারী। ওই দুই অপরাধের জন্য কারাবাসের পাশাপাশি দু’লক্ষ টাকা জরিমানাও হয়েছে সাজাপ্রাপ্ত মহম্মদ শামিমের।
পুরসভা সূত্রের খবর, এক নম্বর বরোর অধীন এক নম্বর ওয়ার্ডের কাশীপুর রোডে ২০১৬ সালে চারতলা একটি বাড়ি পরিদর্শনে যান ইঞ্জিনিয়ারেরা। তাঁরা প্রোমোটার শামিমের কাছে পুরসভার অনুমোদিত নকশা দেখতে চান। কিন্তু সেই নকশা দেখাতে পারেননি শামিম। ওই বছরই প্রোমোটারকে নোটিস পাঠিয়ে বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে বলেন পুর কর্তৃপক্ষ। তার পরেও নির্মাণ বন্ধ না হওয়ায় শামিমের বিরুদ্ধে পুর আদালতে মামলা দায়ের হয়।
এ দিন প্রোমোটারকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, চারতলা ওই বাড়িটি রাতারাতি তৈরি হয়নি। বাড়ি চারতলা পর্যন্ত ওঠার আগেই সেটি পরিদর্শন করে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত ছিল সংশ্লিষ্ট বরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের। তাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি রয়েছে। সেই কারণে পুরসভার কমিশনারকে ওই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
পুর কমিশনারকে ম্যাজিস্ট্রেটের আরও নির্দেশ, প্রোমোটার ওই বাড়ি নিজে ভেঙে না দিলে ১৫ দিনের মধ্যে সেটি ভেঙে দিতে হবে।