প্রতীকী ছবি
করোনার পরিবেশে পুলিশকে বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে অতিমারির মোকাবিলার কাজে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে দুষ্কৃতীরা। গৃহস্থের অসতর্কতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রবিবার সকালে পাটুলি এলাকার একটি আবাসনের চারতলার ফ্ল্যাট থেকে ল্যাপটপ চুরি করে পালাল দুই দুষ্কৃতী। তাদের এক জন মহিলা বলেও দাবি পুলিশের। তাদের নাগাল পেতে আবাসন এবং এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পাটুলি থানার পুলিশ।
পাটুলি থানার আই ব্লকের একটি আবাসনে এ দিন ওই ঘটনা ঘটে। ওই ফ্ল্যাটে থাকেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। তদন্তকারীরা জানান, সকালে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে খবরের কাগজ নেওয়া হয়েছিল। তার পরে পরিচারিকা আসবেন বলে দরজা আর বন্ধ করা হয়নি। অধ্যাপক ও তাঁর স্ত্রী ফ্ল্যাটের অন্য একটি ঘরে ছিলেন। সেই সুযোগে দু’জন ফ্ল্যাটে ঢুকে দু’টি ল্যাপটপ নিয়ে পালায়। আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জেনেছে দু’জনের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, এক জনের গায়ে নামাবলী জাতীয় কোনও পোশাক ছিল। অবশ্য পুলিশ সেই কথা স্বীকার করেনি। ঘটনার পরে পাটুলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই পরিবারের তরফ থেকে।
এমনিতেই করোনার মোকাবিলার কাজে নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে কলকাতার প্রতিটি থানা চরম ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছে। তার উপরে বিভিন্ন থানায় পুলিশকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন। যার ফলে অনেক থানাতেই পুলিশকর্মীর অভাবও দেখা দিচ্ছে। দুষ্কৃতীরাও এই পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেই মনে করছেন পাটুলির আই ব্লক এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের মতে, চারতলার ফ্ল্যাটে ঢুকে যে ভাবে দু’টি ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে দুষ্কৃতীরা নিশ্চিত ছিল যে সহজে পুলিশ পৌঁছবে না। অবশ্য ওই অধ্যাপকের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বাসিন্দাদের দাবি, সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে ওই দু’জন আবাসনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের দরজার লক ঘুরিয়ে দেখছিল কোনটা খোলা রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে তদন্তকারীদের ধারণা, সম্ভবত বানজারারা ওই ঘটনার পিছনে রয়েছে। তবে ওই দু’জনেরই মুখ মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের।