—প্রতীকী চিত্র।
খাতায়কলমে দুর্গাপুজো পাঁচ দিনের। কিন্তু, পুজোর কয়েক দিন আগে থেকেই উৎসাহী দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে মণ্ডপে মণ্ডপে। গত কয়েক বছরের এই প্রবণতা দেখেই রাতের শহরে বাস-মেট্রো সচল রাখার প্রথা হয়েছে। তাই এ বছর পঞ্চমী, ষষ্ঠীতেও গভীর রাত পর্যন্ত মেট্রো চালানোর কথা ঘোষণা করেছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। একই ভাবে পুজোর তিন দিন ছাড়াও শহরের একাধিক রুটে পঞ্চমী থেকেই সারা রাত বাস চালানোর কথা জানিয়েছেন বেসরকারি বাসমালিকেরা।
ভিআইপি রোডের মতো কিছু রাস্তায় পঞ্চমীর বিকেলের পর থেকে অটো চলাচল নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। ওই সব জায়গায় যান নিয়ন্ত্রণের বিধি মেনেই যাত্রীদের যাতায়াতে বাস সচল রাখতে চায় একাধিক বাসমালিক সংগঠন। নিউ টাউন, ভিআইপি রোড, সল্টলেক, ইএম বাইপাস, বি টি রোড, গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ, এসপ্লানেড, ডায়মন্ড হারবার রোডের কিছু অংশ-সহ একাধিক রুটে যেখানে পর্যাপ্ত যাত্রী মিলবে, সেখানে বাস চালানোর ক্ষেত্রে আগ্রহী মালিক সংগঠনগুলি।
‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘ভিআইপি রোড, নিউ টাউন, সল্টলেক, ইএম বাইপাসকে ছুঁয়ে যায় এমন বহু রুটে রাতে বাস চালানো হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’’ এমনকি, বাসকর্মীরাও পুজোয় বাস চালাতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে। কারণ, উৎসবে শামিল হতে বহু মানুষ পথে নামায় বাড়তি যাত্রী পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তাঁরাও। বাড়তি আয়ের আশায় বাস চালাতে চান ওই কর্মীরা। ‘বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসুও বাস চালানোর বিষয়ে তাঁদের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস’-এর তরফে তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে পুজো উপলক্ষে সব বাস পুরো রুট জুড়ে না-ও চলতে পারে, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন মণ্ডপের এবং রাস্তায় ভিড়ের কারণে ওই সময়ে ঘুরপথে বাস চালাতে হয়, জানাচ্ছেন বাসমালিকদের একাংশ।
পাশাপাশি, রাতে বাস চললেও যাত্রীদের চাহিদা এবং রাস্তায় তাঁদের সংখ্যার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে, জানাচ্ছে বিভিন্ন বাসমালিক সংগঠন। মোটের উপরে যাত্রী থাকলে তবেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ রুটে পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত সারা রাত বাস চলবে।