৭জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: নিজস্ব চিত্র
অনশন না তুলে আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। ন্যায্য বেতনের দাবিতে গত আট দিন ধরে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে রাজ্যে সরকার কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না করায়অনশন চালিয়ে যেতে চান বলে জানিয়েছেন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অনুপ কুমার সাউ।
তিনি বলেন, “ন্যায্য বেতনের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। অন্যান্য রাজ্যের প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে হারে বেতন পান, আমাদের বেতন কাঠামোও তেমনই হওয়া উচিত।”
শনিবার অনশনের সপ্তম দিন। প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ দিনও সাত জন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের সল্টলেকের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেপাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীরা জানান, অন্যান্য রাজ্যের প্রাথমিকের শিক্ষকেরা ৯৩০০ থেকে ৩৪,৮০০ টাকার মধ্যে বেতন পেয়ে থাকেন। সেখানে তাঁরা ৫৪০০ থেকে ২৫৪০০ টাকা বেতন পান। এখানেও এই বেতন কাঠামো ঠিক করতে হবে। অভিযোগ, আন্দোলনকারী ১৪ জনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাড়ি থেকে অনেক দূরে বদলি করা হয়েছে। তাঁদের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনারও দাবি জানাচ্ছে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
ইতিমধ্যেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রাথমিকের শিক্ষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। শুক্রবার অনশনস্থলে যান শিলিগুড়ির মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। যদিও সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুপ কুমার সাউ জানিয়েছেন, এই আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। যাঁরা পাশে দাঁড়াতে চাইছেন, তাঁদের স্বাগত।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় সাক্ষ্য দিতে আসেননি কোনও যাত্রী