—নিজস্ব চিত্র
স্বাস্থ্য-পরীক্ষা এবং ভারবহন ক্ষমতা যাচাই করতে এ বার বন্ধ রাখা হবে দক্ষিণ কলকাতার দুর্গাপুর সেতু। নিউ আলিপুর এবং আলিপুর-চেতলার মধ্যে সমন্বয়কারী ওই সেতু কবে থেকে বন্ধ থাকবে, তা শনিবার বিকেল পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে লালবাজার জানিয়েছে, ওই সেতুর দেখভালের দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ কাজের জন্য তিন দিন সেটি বন্ধ রাখার আবেদন জানিয়েছে। লালবাজারের কাছে করা আবেদনে ওই সংস্থা চলতি মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ বিকেল পর্যন্ত সেতু বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য-পরীক্ষা ও ভারবহন ক্ষমতা যাচাই করার কথা বলেছে।
২০১৮ সালে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকে বেহালা এবং নিউ আলিপুরের সঙ্গে সংযোগ সাধনে দুর্গাপুর সেতু গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। সব গাড়ি চলাচল করত ওই সেতু দিয়েই। দু’বছরের বেশি সময় ধরে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ বইতে হয়েছে দুর্গাপুর সেতুকে। এর জেরে সেতুর কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা জানা প্রয়োজন। তাই কেএমডিএ ওই সেতুর ভারবহন ক্ষমতা যাচাই করতে চাইছে।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, এখন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য শিয়ালদহ উড়ালপুল বন্ধ রয়েছে। ওই উড়ালপুলে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেই দুর্গাপুর সেতু বন্ধের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। আর ওই কাজের দিনক্ষণ স্থির হলেই, পোস্টার ও ফ্লেক্স লাগিয়ে জনসাধারণকে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
তবে দুর্গাপুর সেতু বন্ধের তারিখ চূড়ান্ত না হলেও তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সেতু বন্ধ থাকাকালীন আলিপুর, নিউ আলিপুর ও চেতলার বাসিন্দাদের যানজটে যাতে ভুগতে না হয় সে জন্য বিকল্প পথের পরিকল্পনা করেছে ট্র্যাফিক পুলিশ। সেই মতো, ওই তিন দিন দুর্গাপুর সেতু দিয়ে চলাচলকারী সরকারি ও বেসরকারি বাসকে মাঝেরহাট সেতু দিয়ে এসে মোমিনপুর থেকে জাজেস কোর্ট রোড ধরে হাজরা মোড়ে পৌঁছতে হবে। ফিরতি পথেও ওই বাসগুলি একই ভাবে অথবা টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড দিয়ে যেতে পারে।
এক পুলিশকর্তা জানান, দুর্গাপুর সেতু দিয়ে তারাতলা, বেহালা রুটের একাধিক অটো চলাচল করে। পরিকল্পনা করা হয়েছে, দুর্গাপুর সেতু বন্ধ হলে চেতলা রোড এবং বেলি সেতু দিয়ে অটো যাতায়াত করবে। দুটো রাস্তাই একমুখী হিসেবে থাকবে। অর্থাৎ, বেলি সেতু দিয়ে নিউ আলিপুর থেকে আলিপুর আসা যাবে। আবার চেতলা রোড এবং চেতলা সেতু দিয়ে নিউ আলিপুরের দিকে যাওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, ওই রাস্তা দিয়ে ছোট গাড়ি চলবে। তবে পণ্যবাহী সব গাড়িকে টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড বা মাঝেরহাট সেতু দিয়ে পাঠানো হবে বলে পরিকল্পনা লালবাজারের।