ফাইল চিত্র।
থানায় কর্মরত ইনস্পেক্টর, সাব ইনস্পেক্টর এবং কনস্টেবলরা কত দিন ধরে সেখানে রয়েছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। থানাগুলির তরফে গত মাসের শেষে সেই তালিকা ডিভিশন অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তা লালবাজারে পৌঁছে গিয়েছে চলতি সপ্তাহেই। এ বার বদলির প্রতীক্ষা। অতিমারির আবহে এ ভাবেই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল লালবাজার। তবে এই তালিকার বাইরে থাকা কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের বদলি হয়ে গেল মঙ্গলবারই। ডিসি বন্দর, ডিসি সাউথ, ডিসি মধ্য-সহ পাঁচটি ডিভিশনে এই দায়িত্ব বদল হয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের হিসেব মতো চার বছরের মধ্যে তিন বছর একটি জেলা বা ডিভিশনে থাকা অফিসার ও কর্মীদের অন্য জেলা বা ডিভিশনে বদলি করার কথা। সেই নিয়ম মেনেই থানায় কর্মরত সব অফিসার ও কর্মীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, বর্তমান থানায় তাঁদের কত দিন হয়েছে? ভোটের এই প্রস্তুতি প্রাথমিক স্তরের কাজ বলেই জানাচ্ছে লালবাজার। এর মাধ্যমেই বিধানসভার ভোটের কাজ শুরু হয়ে গেল।
পুলিশের এক কর্তা জানান, নির্বাচন কমিশন নতুন নির্দেশ না দিলে পুরনো নিয়ম মেনে থানাগুলিতে ভোটের মাস দুয়েক আগে অর্থাৎ, জানুয়ারি মাসের মধ্যে পুলিশকর্মী ও অফিসারদের পোস্টিং দেওয়া হবে। তবে থানার ওসি ও অতিরিক্ত ওসিদের বদলি প্রথমে হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার।
আরও পড়ুন: পাঁচতলা থেকে পড়ে হাওড়ায় রহস্য-মৃত্যু
এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা আগামী মার্চ-এপ্রিলে। নতুন সরকার গড়তে হবে ২১ মে-র মধ্যে। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সোমবারই সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ভোটার তালিকায় নাম তোলা এবং সংশোধনের কাজ ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে। যা চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের তরফে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার পাশাপাশি বিশেষ সংশোধনীর কাজ গোটা ডিসেম্বর জুড়ে চলার কথা।
লালবাজারের কর্তারা জানাচ্ছেন, হাতে সময় কম। তাই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হল। তবে ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের মতোই এ বছর থানার ওসিদের বদলি করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা ২০১৯ সালে লোকসভার ভোট যে থানায় থেকে পরিচালনা করেছেন, তিন বছর না হলেও তাঁদের সেই থানা থেকে এ বার বদলি করা হতে পারে। সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার পর্যন্ত অবশ্য লালবাজারের কাছে এ নিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি।