বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু রুখতে নির্দেশ মেয়রের

দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে বলে দাবি করেছেন সিইএসসি-র ওই প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত, গত বছর বর্ষায় দক্ষিণ কলকাতার দু’টি জায়গায় ফিডার বক্স থেকে বিদ্যুতের ‘শক’ খেয়ে দু’জন মারা গিয়েছিলেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৮ ০২:০৮
Share:

বর্ষায় শহরে জল জমার সময় ফিডার বক্স থেকে বিদ্যুতের ‘শক’ খেয়ে যেন আর কোনও মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে সিইএসসি-কে সতর্ক করলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রাক্‌ বর্ষার প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার কলকাতা পুরভবনে একটি বৈঠক হয়। রাজ্যের নতুন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মেয়র, মেয়র পারিষদ, বরো চেয়ারম্যান-সহ পূর্ত, কেএমডিএ, সেচ, বিএসএনএল-এর প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। কলকাতার কোন কোন এলাকায় নিকাশির সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে ওই সমস্যার সমাধান করাই ছিল এই বৈঠকের মূল বিষয়। সেখানেই সিইএসসি-র প্রতিনিধিকে মেয়র বলেন, ‘‘আর যেন বিদ্যুতের শক খেয়ে কেউ না মারা যান, সেটা দেখবেন। ফিডার বক্স কার, তা নিয়ে আর বিতর্ক শুনব না।’’ ওই প্রতিনিধি মেয়রকে জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে জল জমলে যাতে ফিডার বক্স ডুবে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে রাস্তার ধারের ফিডার বক্সগুলি আরও উঁচুতে তোলা হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে বলে দাবি করেছেন সিইএসসি-র ওই প্রতিনিধি। প্রসঙ্গত, গত বছর বর্ষায় দক্ষিণ কলকাতার দু’টি জায়গায় ফিডার বক্স থেকে বিদ্যুতের ‘শক’ খেয়ে দু’জন মারা গিয়েছিলেন।

Advertisement

এ দিনের বৈঠকে প্রশ্ন ওঠে শহরের বিভিন্ন স্থানে জল জমা নিয়েও। এ বিষয়ে পুরসভার ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অনিন্দ্য রাউতের অভিযোগ ছিল, অনূর্ধ্ব ১৮ ফুটবল বিশ্বকাপের আগে তাড়াহুড়ো করে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ তৈরির সময়ে অনেক জায়গাতেই নিকাশি নালা ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু এখন তা না সারানো হলে প্রবল বৃষ্টিতে মানিকতলা-সহ ৩ নম্বর বরোর বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

৮ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় আলিপুর আদালতের একটি অংশে জল জমার কথা তোলেন। খিদিরপুর এলাকায় ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীল নিকাশি নালা এবং এলাকার জল বেরোনোর সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এই সমস্যাগুলির কোনওটা সমাধানের দায়িত্ব সেচ দফতরের, কোনওটা আবার পূর্ত দফতর অথবা কেএমডিএ-র অধীনে। তবে এ দিন সকলেই জল জমার সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

এ দিন মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ উত্তর কলকাতার একাধিক খাল সংস্কারের বিষয়ে সেচমন্ত্রীকে একটি তালিকা দিয়েছেন।সৌমেনবাবু বৈঠকে উপস্থিত সকলকে বলেন, ‘‘কলকাতা পুর এলাকার সমস্যা থাকলেই জানাবেন। সংযোগ করার জন্য সেচ দফতরের এক অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁদের কাছে পাম্পও রয়েছে।’’ প্রয়োজনে জমা জল সরাতে ওই পাম্প ব্যবহার করা হতে পারে বলেও বৈঠকে জানিয়েছেন সৌমেনবাবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement