গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীর মতোই চমক জাগানো এক ভোটারের নামও। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই কেন্দ্রে এ বার ভোটার ‘ভোটকুশলী’ প্রশান্ত কিশোর। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপুল জয়ে অগ্রণী ভূমিকা ছিল প্রশান্তের সংস্থা আইপ্যাকের। এ বার সেই প্রশান্তকেই ভোট দিতে দেখা যেতে পারে ভবানীপুরে। যদিও বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর উপনির্বাচনের দিন প্রশান্তকে আদৌ ভোটের লাইনে দাঁড়াতে দেখা যাবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে তৃণমূলের বহু নেতার আশা, ওই দিন ভবানীপুরে দিদিকে ভোট দেবেন প্রশান্ত।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় প্রশান্তের নাম উঠেছিল। ঘটনাচক্রে, শনিবার তা প্রকাশ্যে এল। তাঁর ভোটার কার্ডে ঠিকানা ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া কালীঘাটের পটুয়াপাড়া এলাকার। ভোটার তালিকায় ভবানীপুর কেন্দ্রের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২২২ পার্টে, অর্থাৎ সেন্ট হেলেন স্কুল প্রশান্তের ভোটকেন্দ্র ছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনের সময় ব্যস্ততার কারণে ভোট দিতে যেতে পারেননি প্রশান্ত।
শনিবার ভোটার প্রশান্তের নাম নিয়ে টুইট করে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন বিজেপি-র মিডিয়া ইন-চার্জ সপ্তর্ষি চৌধুরী। প্রশান্ত-সহ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, ‘অবশেষে প্রশান্ত কিশোর ভবানীপুরের ভোটার!! বাংলার মেয়ে কি তবে বহিরাগত ভোটার চায়!! কুণাল ঘোষ, জানতে চায় রাজ্যের মানুষ।’ তবে শনিবার রাতে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত তা নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পর সে বছরের জুলাইতে মমতার দলের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ শুরু করেন প্রশান্ত। তার পর থেকে ‘দিদিকে বলো’ বা ‘দুয়ারে সরকার’-এর মতো একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা আম জনতার ঘরে পৌঁছে দেওয়া ছাড়াও ‘বাংলার গর্ব মমতা’-র মতো প্রচারে মমতার ভাবমূর্তি তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে প্রশান্তের সংস্থা আইপ্যাক। বিধানসভা নির্বাচনে তার ফসলও ঘরে তুলেছেন মমতা। বিজেপি-কে ধরাশায়ী করে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসেছেন মমতা।
এ বার সেই প্রশান্তই মমতার কেন্দ্রের ভোটার। তবে গত বার ভোট দিতে না পারলেও এ বার কি তার ব্যতিক্রম হবে? ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘প্রশান্ত কিশোর যে আমাদের বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার হয়েছেন, তা দলীয় নেতা-নেত্রীরা সকলেই জানেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে পারেননি। তবে আমাদের আশা, এ বারের উপনির্বাচনে আমাদের প্রার্থী দিদিকেই ভোট দেবেন প্রশান্ত।’’