নবান্ন-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কিছুক্ষণের জন্য লোডশেডিং হল শনিবার। দুপুর ২টো ৪৮ মিনিট নাগাদ হঠাৎই নবান্নে আলো চলে গেলে হইচই শুরু হয়। অন্য একটি অনুষ্ঠান থাকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সময়ে নবান্নে ছিলেন না। শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় অধিকাংশ দফতরেই কোনও কর্মী ছিলেন না। ফলে সরকারি কাজে কোনও বিঘ্ন ঘটেনি বলে নবান্ন সূত্রে খবর। একতলা থেকে চোদ্দতলা অন্ধকারে ডুবে যায়। ভিআইপি লিফ্ট-সহ সাধারণের ব্যবহারের অন্যান্য লিফ্টগুলিও বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারিও বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নবান্নের দু’টি জেনারেটর চালিয়ে জরুরি আলো ও লিফ্ট চালানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ দিন নবান্নে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবরে পুলিশ এবং পুর্ত দফতরের কর্তাদের মধ্যে দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই দু’টি সাবস্টেশনের সুইচ বক্স হঠাৎই বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। নবান্ন-সহ হাওড়ার কিছু এলাকা, দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতায়ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। বিকেল ৩টে ১৫ মিনিটে বিদ্যুৎ আসে নবান্নে। ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয় কলকাতায়ও।