খন্দময়: বারাসতের চাঁপাডালি মোড়। ছবি: সুদীপ ঘোষ
ক’দিন বাদেই এলাকার সবচেয়ে বড় উৎসব কালীপুজো। ভিন্ রাজ্যের মানুষের পাশাপাশি পুজো দেখতে আসবেন বিদেশিরাও। কিন্তু এখনও চলছে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। পুরসভা এলাকার রাস্তাগুলিও বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এর জেরে আলোর উৎসব পণ্ড হওয়ার আশঙ্কায় বারাসতের কালীপুজোর উদ্যোক্তারা।
বারাসত-মধ্যমগ্রামে গেলেই দেখা যাবে, রাস্তার দু’ধারে নর্দমা উপচে পড়ছে, জড়ো করা আবর্জনার স্তূপ, ভাঙা রাস্তায় বেরিয়ে রয়েছে ইট-পাথর। রাস্তায় বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন রাস্তা। তার মধ্যে দিয়েই চলছে যাতায়াত। দু’টি জাতীয় সড়ক, বারাসত-টাকি রোড, বাদু রোড, ব্যারাকপুর রোড, রেলের রাস্তার পাশাপাশি বেহাল বারাসত ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার রাস্তাগুলিও। কালীপুজোর বড় বড় মণ্ডপের কাজও চলছে। উদ্যোক্তাদের আশঙ্কা, এমন ভাঙা রাস্তায় দর্শকদের মণ্ডপে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে হবে।
বারাসত থেকে উত্তরবঙ্গগামী ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ও টাকি রোডে এখন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ওই রাস্তার দু’পাশে রয়েছে কয়েকটি বড় পুজো। কিন্তু রাস্তাগুলির হাল এমনই যে, গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে গাড়ি। বুধবার রাতেই একটি লরি গর্তে পড়ে পাশের একটি দোকানে ঢুকে যায়। মতিয়ার রহমান নামে এক লরিচালকের অভিযোগ, ‘‘তিন বছর ধরে বারাসত-টাকি রোড সম্প্রসারণের কাজের পরে বৃষ্টিতেই বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা।’’ একই অবস্থা যশোর রোড, বাদু রোড, ব্যারাকপুর রোডেও। ব্যবসার কাজে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা সুবীর দাসের অভিযোগ, ‘‘মোটরবাইক বা গাড়িতে যেতেও গর্তে পড়তে হচ্ছে। গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে।’’
বারাসত স্টেশন সংলগ্ন রেলের রাস্তায় গিয়ে দেখা গেল, কাদা আর জলে গর্ত ভরে রয়েছে। তার জেরে হেঁটে বা গাড়ি চড়ে যাতায়াত কার্যত অসম্ভব। একই হাল বারাসত-হৃদয়পুর স্টেশন রোডের। স্থানীয়েরা জানান, ডাকবাংলো মোড় থেকে কৈলাস নগর, আরদেবক রোড, নিবেদিতা পল্লি, জাগৃতি সঙ্ঘের মতো অনেক রাস্তারই বেহাল অবস্থা।
রাস্তার বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৃষ্টির কারণে রাস্তা খারাপ হয়েছে, কাজও করা যাচ্ছে না। তবে কালীপুজোর আগেই রাস্তাগুলি সংস্কার করা হবে।’’ কালীপুজোর আগে রাস্তা ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক রথীন ঘোষও।