ফাইল চিত্র।
রাজ্য সরকার পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেও কবে থেকে ভাঙার কাজ শুরু হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার পরেই উড়ালপুল ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভেঙে পড়া ওই উড়ালপুলের বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই বহু দিন কেটে গিয়েছে। এর পরে ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কোথায়, কী ভাবে, কতটা ভাঙা হবে, তা ঠিক হবে বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরেই।
এ বিষয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, “পোস্তা উড়ালপুল ভেঙে ফেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে, যারা ওই উড়ালপুলের ভেঙে যাওয়া অংশের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কোন অংশ কী ভাবে, কতটা ভাঙতে হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ওই কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।’’ ওই কমিটিতে কেএমডিএ-র কর্তারা ছাড়াও এক জন বিশেষজ্ঞ থাকছেন। সেই সঙ্গে পূর্ত দফতর, হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স ও কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধিরাও আছেন।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ওই উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে পড়ে। সেই ঘটনার পরেই উড়ালপুলটির বাকি অংশ ভেঙে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, উড়ালপুলের বাকি অংশও ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সেটি আদৌ ভাঙা হবে, না সারানো হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই বেশ কয়েক বছর কেটে যায়।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, উড়ালপুলটি ভেঙে পড়ার পরেই রাজ্য সরকার জানায়, সেটির বাকি অংশের ভবিষ্যৎ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। পূর্ত দফতরকেই সেই ভার দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কেএমডিএ-কে উড়ালপুলটির কাঠামো পরীক্ষা করে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, উড়ালপুলটি ভেঙে পড়ার পরে এক সময়ে ঠিক হয়েছিল, সেটির বাকি অংশ ভাঙার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দরপত্রের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। সেই সংস্থা উড়ালপুলটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। কিন্তু পরে সেই প্রক্রিয়া আর এগোয়নি।