বাড়ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জনপ্রিয়তা

চলতি সপ্তাহের বুধবার কাঁকুড়গাছির আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র পার্কে এই মেলার সূচনা হয়েছে। মেলা চলবে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জিনিস।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৪১
Share:

বাছাই: মেলায় চলছে বিকিকিনি। নিজস্ব চিত্র

গত বছর মেলায় স্টলের সংখ্যা ছিল ১৩০টি। এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৩টিতে। গত বছর যেখানে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আড়াইশো জন মহিলা সদস্য উপস্থিত ছিলেন মেলায়, এ বার সেখানে তাঁদের সংখ্যা ৩০০। রাজ্য সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতর আয়োজিত কলকাতা জেলা সবলা মেলার এই তথ্যই বুঝিয়ে দেয় যে ধীরে ধীরে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

Advertisement

চলতি সপ্তাহের বুধবার কাঁকুড়গাছির আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র পার্কে এই মেলার সূচনা হয়েছে। মেলা চলবে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের জিনিস। বাঁকুড়ার টেরাকোটা, ডোকরা, উত্তরবঙ্গের বাঁশবেতের কাজ থেকে কালনার মসলিন বা রায়গঞ্জের তুলাইপঞ্জী চাল মিলছে মেলায়। শহরের ভিতরে এক জায়গায় এত বিভিন্ন সম্ভার পাওয়া যাওয়াটাই মেলার জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ বলে মানছেন দফতরের আধিকারিক থেকে সাধারণ মানুষ সকলে। দফতর সূত্রের খবর, উদ্বোধনী দিনে মেলায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। স্টলগুলিতে কেনাকাটাও ভাল হয়েছে। যা দেখেশুনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা জানিয়েছেন, শুরুর দিনে এতটা বিক্রি অন্য বছর হয় না।

২৩টি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং স্বনির্ভর প্রকল্পের উদ্যোগীরা হাজির হয়েছেন। একটি গোষ্ঠীর সদস্যা বাগনানের কৃষ্ণা পাত্র কাঁথা স্টিচের বস্ত্র এবং ব্যাগের সম্ভার নিয়ে এসেছেন। তাঁর কথায়, “গত পাঁচ বছর ধরে এখানে আসছি। গত বছরই আয় বেড়েছে প্রথম বারের তিন গুণ। এ বার প্রথম তিন দিনে যা আয় হয়েছে, তাতে গত বছরের তুলনায় আয় বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।”

Advertisement

স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির উৎসাহিত হওয়ার আরও একটি ব্যাখ্যা মিলছে। রাজ্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতর ঋণপ্রদানকারী অর্থের পরিমাণ বাড়িয়েছে। ঋণের টাকার উপরে সরকার ভর্তুকির ব্যবস্থা করায় পরিশোধ করা অনেক সহজ হয়েছে।

১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা এই মেলার বাড়তি আকর্ষণ কারিগরি হাট। খেজুর গুড়, পাটালি এবং বিভিন্ন পিঠেপুলি― সব মিলবে এখানে। শুধু তাই নয়, কারিগরি হাটে চাক্ষুস করা যাবে হাতের কাজ তৈরিতে মগ্ন শিল্পীদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement