‘অস্পষ্ট’ ফুটেজ, পলাতক অভিযুক্ত চালক

পুলিশের একাংশের দাবি, রবিবার রাতের ঘটনার স্পষ্ট ফুটেজ না মেলায় ঘাতক ক্যাব ও চালককে চিহ্নিত করা যায়নি। দিন কয়েক আগে বেটিঙ্ক স্ট্রিটে লালবাজারের নাকের ডগাতেও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতেও স্পষ্ট ছবি মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৭
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

নজরদারি চালাতে কোটি কোটি টাকার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে রাস্তায়। কিন্তু তাতে লাভ হচ্ছে কি? রবিবার রাতে রাজভবনের কাছে এক পুলিশ অফিসারের আহত হওয়ার ঘটনার পরে এই প্রশ্নই উঠেছে। লালবাজারের তরফে পাওয়া দু’রকম বক্তব্য বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে।

Advertisement

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে রাজভবন সংলগ্ন নেতাজি মূর্তির কাছে ডায়মন্ড হারবার ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট সৌরভ মণ্ডলকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় একটি অ্যাপ-ক্যাব। দুর্ঘটনার পরে সংলগ্ন রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে কার্যত আতান্তরে পড়েন তদন্তকারীরা। কারণ, ফুটেজের ছবি এতটাই অস্পষ্ট যে অভিযু্ক্ত গা়ড়িটিকে চিহ্নিতও করা যায়নি। তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা থেকে ‘কাঠখড় পুড়িয়ে’ ক্যাবটিকে চিহ্নিত করা যাবে।

যদিও ডিসি ট্রাফিক সুমিত কুমার সোমবার দাবি করেন, চালক ঘটনাস্থলেই গাড়ি ফেলে পালানোয় অ্যাপ-ক্যাবটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। চালকের খোঁজ চলছে। কিন্তু ডিসি এমন দাবি করলেও ঘটনাস্থল থেকে কোনও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার খবর লালবাজার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের কাছে নেই! এমনকী লালবাজারের আরও এক শীর্ষকর্তাও এ দিন জানিয়েছেন, ঘাতক গাড়িটির খোঁজ চলছে।

Advertisement

শহরের সিসিটিভি ক্যামেরার এমন দশা কেন? সুমিতবাবু সিসি ক্যামেরার বেহাল দশার কথা অস্বীকার করে জানান, যে ক্যামেরাগুলি রয়েছে সেগুলি রাতের ছবি স্পষ্ট ভাবেই তুলতে পারে।

কিন্তু পুলিশের একাংশের দাবি, রবিবার রাতের ঘটনার স্পষ্ট ফুটেজ না মেলায় ঘাতক ক্যাব ও চালককে চিহ্নিত করা যায়নি। দিন কয়েক আগে বেটিঙ্ক স্ট্রিটে লালবাজারের নাকের ডগাতেও একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতেও স্পষ্ট ছবি মেলেনি। এক পুলিশ অফিসারের মন্তব্য, ‘‘এত খরচ করে ক্যামেরা লাগিয়েও যদি ছবি না মেলে তা হলে লাভ কী?’’

পুলিশ জানায়, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ডিউটি সেরে মোটরবাইকে চেপে উত্তরপাড়ায় বা়ড়ি ফিরছিলেন সৌরভবাবু। অভিযোগ, তিনি রেড রোড ছাড়িয়ে নেতাজি মূর্তির কাছাকাছি পৌঁছলে একটি অ্যাপ-ক্যাব তাঁকে ধাক্কা মেরে পালায়। পড়ে গিয়ে ‘কলার বোন’ ও পা ভেঙে যায় তাঁর। তিনি একবালপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি একটি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার। কিন্তু গাড়িতে কোন সংস্থার স্টিকার সাঁটা বা গাড়ির নম্বর কত তা সৌরভবাবু বুঝে ওঠার আগেই চালক চম্পট দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement