ফাইল চিত্র।
বার্ষিক নির্ধারিত মাত্রা মানতে হলে কলকাতার বাতাসে বর্তমানে যে পরিমাণ অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম২.৫) রয়েছে, তার মাত্রা অন্ততপক্ষে ২৯ শতাংশ কমাতে হবে। শুধু তা-ই নয়, গত দু’বছর, অর্থাৎ ২০১৯ ও ২০২০ সালের তুলনায় বাতাসের মানের নিরিখে ‘খারাপ’ দিনের (পুয়োর ডেজ়) সংখ্যা ২০২১ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে ওই সংখ্যা ছিল ৪৫। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৫৩। তবে ‘খারাপ’, ‘খুব খারাপ’ ও ‘বিপজ্জনক’ দিনের মোট সংখ্যা ৯৩ (২০১৯ সালে) থেকে কমে ৮৩ দিন (২০২১ সাল) হয়েছে।
সোমবার গবেষণাকারী সংস্থা ‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ (সিএসই) প্রকাশিত পশ্চিমবঙ্গের শহরগুলির বাতাসের মান সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা এমনটাই জানাচ্ছে। পূর্ব ভারতের একাধিক শহর এবং পশ্চিমবঙ্গের ছ’টি শহরের (কলকাতা, হাওড়া, আসানসোল, শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর এবং হলদিয়া) বাতাসের মান নিয়ে ২০১৯ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত করা দু’টি পৃথক সমীক্ষা রিপোর্ট এ দিন প্রকাশ করা হয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, লকডাউনের কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে বাতাসে পিএম২.৫-এর মাত্রা কম ছিল। ২০২১ সালে যা ফের বেড়েছে। যেমন ভাবে মূলত যানবাহনের ধোঁয়ার কারণে নির্গত নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কলকাতায় মাসে প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমীক্ষাধীন শহরগুলির মধ্যে যা সর্বাধিক। সিএসই-র এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি) অনুমিতা রায়চৌধুরীর বক্তব্য, ‘‘লকডাউনের কারণে দূষণ নিম্নমুখী থাকার পরে ফের তার লেখচিত্র উপরে উঠছে। দূষণ কমাতে এখনই সব স্তরে পরিকল্পিত পদক্ষেপ করা দরকার। না হলে ফের দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।’’