free corona vaccination

অনুপস্থিত অনেকে, প্রতিষেধকে প্রবল অনীহা বিভিন্ন পুরসভাতেও

গ্রামাঞ্চল তো বটেই, সল্টলেক-দমদমের মতো এলাকাতেও প্রতিষেধক নিতে আসছেন না সিংহভাগ উপভোক্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোভিডের প্রতিষেধক নিয়ে অনীহা ক্রমেই বাড়ছে। তালিকায় নাম উঠলেও প্রতিষেধক নেওয়ার সময়ে পিছিয়ে যাচ্ছেন কোভিড-যোদ্ধাদের অনেকেই। স্বাস্থ্যকর্মীদের পরে এখন পুরকর্মীদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু সেখানেও প্রতিষেধক প্রাপকদের উপস্থিতির হার ক্রমশ নিম্নগামী।

Advertisement

গ্রামাঞ্চল তো বটেই, সল্টলেক-দমদমের মতো এলাকাতেও প্রতিষেধক নিতে আসছেন না সিংহভাগ উপভোক্তা। কোভিড-যোদ্ধাদের কেউ মোবাইল বন্ধ রাখছেন, তো কেউ ফোন ধরছেনই না। সোমবার কলকাতা লাগোয়া পুরসভাগুলিতে ১৩৬৩ জনকে প্রতিষেধক নিতে ডাকা হয়েছিল। নিয়েছেন মাত্র ৪৮৮ জন।

স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্যকর্তা এবং সাফাইকর্মীদেরও কোভিড-যোদ্ধার তালিকায় রাখা হয়েছে। পুরকর্মীদের মধ্যে যাঁরা মাঠে বা রাস্তায় নেমে কাজ করেন, তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া হলে পুরসভায় সংক্রমণেও বাঁধ দেওয়া যাবে বলে চিকিৎসকদের মত। সুরক্ষিত থাকবে তাঁদের পরিবারও।

Advertisement

এ দিন বিধাননগর পুরসভার ২০০ জন কর্মীকে প্রতিষেধক নিতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ২২ জন কর্মী প্রতিষেধক নিয়েছেন। কাছাকাছি একই ছবি দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। সেখানেও এ দিন প্রথম দফায় ২০০ জন কর্মীকে প্রতিষেধক নিতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু হাজির হয়েছিলেন মাত্র ৫৫ জন। তা-ও তাঁদের ডেকে আনতে রীতিমতো ঘাম ঝরেছে পুর কর্তৃপক্ষের।

ওই পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য প্রবীর পাল। তিনি জানান, ৬০০ জন পুরকর্মীকে তিন দফায় প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৩৮ জন আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা প্রতিষেধক নেবেন না। ফোন করে ডাকায় চার জন এসে প্রতিষেধক নেন। ১৮ জনের ফোন বন্ধ ছিল। ২৩ জন ফোন ধরেননি। ৬২ জনের সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি।

প্রবীরবাবু বলেন, “প্রতিষেধক নেওয়ার পরে সকলকেই দু’ঘণ্টা করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কেউ অসুস্থ হননি। আশা করছি, এই তথ্য বাকিদের সাহস জোগাবে। আগামী বুধবার তালিকার অধিকাংশই প্রতিষেধক নেবেন।” স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে এ দিনের তালিকায় প্রবীরেরও নাম ছিল। তবে প্রতিষেধক নেননি করোনায় আক্রান্ত হওয়া ওই জনপ্রতিনিধি।

ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ৮৪ জন কর্মীর মধ্যে এ দিন প্রতিষেধক নিয়েছেন ৫৩ জন। নৈহাটি পুরসভার ২০০ জন কর্মীর মধ্যে প্রতিষেধক নিয়েছেন মাত্র ১৫ জন। নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ১৭৫ জন কর্মীর মধ্যে এ দিন ৮৪ জন কর্মী প্রতিষেধক নিয়েছেন।

বরাহনগর পুরসভার ছবিও ছিল কার্যত এক। ১৩৬ জন কর্মীর মধ্যে প্রতিষেধক নিলেন মাত্র ৭২ জন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা জানান, প্রতিষেধক নিয়ে প্রাপকদের এই অনীহার বিষয়টি তাঁদের ভাবাচ্ছে। যাঁরা প্রতিষেধক নিয়েছেন, প্রয়োজনে তাঁদের দিয়ে কর্মশালা করানোর কথাও ভাবা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement